মনসারাম কর, সাংবাদিক, ঘাটাল: প্রেমিককে জীবনসাথী
করার স্বপ্ন দেখেছিল ১৭ বছরের নাবালিকা সাথী। পড়াশোনার করতে গিয়ে
পরিচয়, পরিচয় থেকে প্রেম, প্রেম থেকে ঘনিষ্ঠতা। জীবনের তাল কাটলো বিয়ের প্রস্তাবের
পরেই। প্রেমিকের সাথে দুরত্ব বাড়তেই মানসিক অবসাদ নাবালিকার। অবশেষে প্রেমিকের
সাথে ভিডিও কল হতে হতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আ*ত্ম*হ*ত্যা নাবালিকা প্রেমিকার। এর
পরেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রেম প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ নিয়ে পুলিশের
দারস্থ মেয়ের বাবা। চন্দ্রকোনার ধরমপোতা গ্রামের অরুন ঘোষালের ১৭ বছরের নাবালিকা
কন্যা সাথী ঘোষাল গত ২১ অক্টোবর নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্ম**হ*ত্যা করে।
গতকাল ২৩ অক্টোবর মৃ*ত সাথীর বাবা চন্দ্রোকোনা থানায় এক লিখিত অভিযোগ জানান। লিখিত অভিযোগে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন,কন্যা সাথী ঘোষাল (বয়স ১৭ বছর) চন্দ্রকোনা
থানার গোপসাই অভিনন্দন সংঘের ফার্মেসি বিভাগে পড়াশোনা চলাকালীন শালবনী থানার জামগেড়িয়া
গ্রামের দীপক কুমার মাহাতোর পুত্র সৌমাল্য মাহাতর সহিত পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে
সৌমাল্য মাহাতর সাথে প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হয়। প্রেম
থেকে দুজনের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে প্রেমিক সৌমাল্য প্রেম প্রত্যাখ্যান করে এবং বিয়ে করতে অস্বীকার
করে। মৃত সাথীর বাবার অভিযোগ, প্রেমিক সৌমাল্য প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। এই ঘটনা বাড়িতে আগেই
জানিয়েছিল সাথী। কিন্তু প্রেমের জাল কেটে বেরোতে পারেনি নাবালিকা মেয়ে। বারংবার সৌমাল্য
মাহাতোর সহিত সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সে। এর পরেই ভেঙে পড়ে সাথী। সেই
অবস্থায় হতাসাগ্রস্থ হয়ে ২১ অক্টোবর নিজের বাড়িতেই আ*ত্ম*হ*ত্যা করে নেয়। এই ঘটনায়
প্রেমিক সৌমাল্যর বিরুদ্ধে বিবাহের প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে চন্দ্রকোনা
থানায় লিখিত অভিযোগ করেন পিতা অরুন ঘোষাল। লিখিত বয়ানে তিনি উল্লেখ করেছেন “২১ অক্টোবর
রাত্রি আটটা নাগাদ প্রেমিক সৌমাল্য মাহাতো সাথীর সাথে ভিডিও কল করে তাকে আত্মহত্যার
প্ররোচিত করতে বাধ্য করে এবং ভিডিও কল চলাকালীন আমার সাথী গলায় অন্যার ফাঁস লাগিয়ে
আত্মহত্যা করে”।
প্রেমিকের সাথে ভিডিও কল চলাকালীন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আ*ত্ম*হ*ত্যা নাবালিকা প্রেমিকার। প্রেমিকের বিরুদ্ধে পুলিশের দারস্থ মেয়ের বাবা।
byMansaram Kar
-
