মেদিনীপুরের তথ্য । জানুন ও জানান । কলমে:- -সুমন বিশ্বাস, মহকুমা শাসক, ঘাটাল

 প্রশ্নোত্তরে এক নজরে মেদিনীপুরের তথ্য। কলমে:- -সুমন বিশ্বাস, মহকুমা শাসক, ঘাটাল 

প্রশ্নঃ মেদিনীপুরের নামকরণের ইতিহাস কী?

মেদিনীপুর নামটি কীভাবে এলো তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বিবরণ রয়েছে। একটি বিবরণ দাবি করে যে মেদিনীপুর স্থানীয় দেবতা “মেদিনীমাতা” (আক্ষরিক অর্থে “বিশ্বের মা”, একটি শক্তি অবতার) এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছিল।

ঐতিহাসিক শ্রী হরি সাধন দাস তাঁর ‘মেদিনীপুর ও স্বাধীনতা’ গ্রন্থে যা লিখেছেন সে কথা মানলে বলতে হয় ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে গন্ডিচাদেশের (বর্তমান ওড়িশা) সামন্তরাজা প্রাণকরের পুত্র মেদিনীকর এই শহর প্রতিষ্ঠা করেন।সাল ১২০০ থেকে ১৪৩১  মেদিনীপুর কর বংশের রাজত্বকাল। 

কারো মতে সুদূর মদিনা থেকে মাদানীশাহ নামে এক পীর এই অঞ্চলে এসেছিলেন।’মাদানীশাহ’ ক্রমে মেদিনীপুর হয়েছে।

অনন্ত বর্মন চোঙ্গল রাজার রাজ্য ‘মিথুনপুর’ থেকেও মেদিনীপুর নাম এসে থাকতে পারে।দ্বাদশ শতাব্দীতে মেদিনীপুরের নাম ছিল মিথনপুর।ঐতিহাসিকদের মতে আইন – ই- আকবরী তে ‘মেদিনীপুর’ নগরী হিসেবে উল্লেখ হয়েছে।

‘মেদিনী মল্ল রায়’ নামে উড়িষ্যার এক শক্তিশালী রাজা ১৫২৪ সালে এই অঞ্চলটি জয় করে মেদিনীপুর নামকরণ করেছিলেন।

প্রশ্নঃ মেদিনীপুর ভেঙে কি কি জেলা হয়েছে?

২০০২ সালের ১লা জানুয়ারী বৃহত্তর অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর নামক দুটি জেলা তৈরি হল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে চারটি মহকুমা ছিল- খড়গপুর, মেদিনীপুর সদর, ঝাড়গ্রাম এবং ঘাটাল। (তবে বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ টি মহকুমা)  আর পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে চারটি  মহকুমা আছে – কাঁথি, হলদিয়া, তমলুক ও এগরা। এগরা মহকুমাও ২০২২ সালে তৈরি হয়। কাঁথি মহকুমাকে ভেঙে এগরা মহকুমার জন্ম হয়। 

২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিভাজিত হয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা গঠিত হলে ঝাড়গ্রাম মহকুমাটি উক্ত জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।

প্রশ্নঃ  মেদিনীপুরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্বন্ধে বলুন।

ঐতিহাসিক মতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকায় রাজা শশাঙ্কের রাজত্বের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ঐ সময়কালে তাম্রলিপ্ত সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এই জেলার অনেকাংশ। ১০২১-১০২৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজা রাজেন্দ্র ঢোলের আক্রমনের পর তাম্রলিপ্ত সাম্রাজ্যের পতন হয়। এরপর ১১৩৫ খ্রিষ্টাব্দে রাজা অনন্ত বর্মণ মেদিনীপুরের (তৎকালীন মিধুনপুর) দখল নেন। খ্রিষ্টীয় ১৩০০-১৫০০ শতাব্দীতে সারা বাংলায় মুসলিম সাম্রাজ্যের বিস্তার হলেও বিষ্ণুপুরের হিন্দু রাজা এবং জমিনদারেরা মেদিনীপুরের সুবিশাল অংশে হিন্দু সাম্রাজ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৫০০ শতাব্দীর শুরুতে মেদিনীপুর মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে চলে আসে। ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে জব চার্নক মেদিনীপুরের হিজলিতে আসেন। ১৭০০ শতাব্দীর মধ্যান্তরে মারাঠারা একাধিক বার মেদিনীপুরে আক্রমন ও লুঠতরাজ করে। ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ মারাঠা সাম্রাজের অধীনে চলে যায়। এরপর ব্রিটিশ আমলে মেদিনীপুর একাধিক কৃষক বিদ্রোহ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে।

প্রশ্নঃ মেদিনীপুরের আবহাওয়া ও জলবায়ু কেমন? 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আয়তন ৯২৯৫.২৮ বর্গ কিমি।এই জেলার আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৪৫ ডিগ্রি ও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৫১৪ মিমি।

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আয়তন কত?

 ৯৩৪৫ বর্গকিমি 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আয়তন কত?

৪৭৩৬ বর্গ কিমি  

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলার আয়তন কত?

৩০২৪.৩৮ বর্গ কিমি

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জনসংখ্যা কত?

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ৫৯,৪৩,৩০০ জন, লিঙ্গ অনুপাত -  ৯৬০/১০০০ 

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলার জনসংখ্যা কত?

১১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৬৩ জন 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জনসংখ্যা কত?

৫১ লক্ষ 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সীমানা উল্লেখ কর

উত্তরে বাঁকুড়া, দক্ষিণে ওড়িশা, পূর্বে পূর্ব মেদিনীপুর ও বিহার, 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সীমানা উল্লেখ কর

এই জেলার উত্তরে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলা; পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা রাজ্য।

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সাক্ষরতার হার কত?

৭৯.০৪ %

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাক্ষরতার হার কত?

৮৭.৬৬%

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলার সাক্ষরতা কত?

৭০.৯২ % 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

 কাঁসাই

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

তমলুক শহরটি রূপনারায়ণ নদীর তীরে অবস্থিত, কোলাঘাটও রূপনারায়ণের তীরে অবস্থিত। 

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

সুবর্ণরেখা নদীর তীরে অবস্থিত। 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত কতগুলি?

 ২৯০টি

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কটি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে?

২২৩ টি 

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলায় কতগুলি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে?

৭৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে, ২৯৯৫ টি গ্রাম আছে। 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পঞ্চায়েত সমিতি কতগুলি

২১টি, বিডিও অফিসও আছে ২১ টি 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কটি ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতি আছে?

২৫ টি ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতি আছে।

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলায় কতগুলি ব্লক আছে?

৮ টি ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতি আছে। 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা পরিষদ এর নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা কত?

৬০ জন। 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?

নির্বাচিত সদস্য ৭০ জন 

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা কত?

১৯ টি 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধান সভার আসন সংখ্যা কত

১৫ টি। 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিধানসভার আসন সংখ্যা কত?

১৬ টি 

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলাতে কতগুলি বিধানসভা আছে?

চারটি আসন আছে। 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লোকসভার আসন সংখ্যা কত?

 ৩ টি মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম,ও ঘাটাল  (আসন বিন্যাসে তিনটি জেলা জুড়ে আছে) 

ঘাটাল লোকসভা – সবং, পিংলা, ডেবরা, ঘাটাল, দাসপুর, কেশপুর এবং পাশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকা নিয়ে গঠিত। 

মেদিনীপুর লোকসভা – এগরা, দাঁতন, কেশিয়ারী, খরগপুর সদর, খরগপুর, নারায়ণগড়, মেদিনীপুর 

ঝাড়গ্রাম লোকসভা – গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, নয়াগ্রাম, বিনপুর, গড়বেতা, শালবনী, বান্দোয়ান 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার লোকসভা কটি?

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২ টি লোকসভা আসন রয়েছে। তমলুক এবং কাঁথি 

তমলুক লোকসভা গঠিত হয়েছে – তমলুক, পাশকুড়া পূর্ব, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া ও নন্দীগ্রাম বিধানসভা নিয়ে।

কাঁথি লোকসভা গঠিত হয়েছে – চন্ডীপুর, পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরী, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর এই বিধানসভা নিয়ে। 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মহাকুমা ও পুরসভা কয়টি?

 তিনটি , খড়গপুর, মেদিনীপুর সদর, এবং ঘাটাল। ৭ টি পুরসভা, মেদিনীপুর, খড়গপুর, ঘাটাল, ক্ষীরপাই, খড়ার, রামজীবনপুর ও চন্দ্রকোনা।

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুরের কটি মহকুমা ও পুরসভা?

চারটি মহকুমা, কাঁথি, এগরা, হলদিয়া ও তমলুক এবং পাঁচটি পুরসভা যথা কাঁথি, এগরা, তমলুক, হলদিয়া ও পাঁশকুড়া।   

প্রশ্নঃ তমলুক পৌরসভা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৮৬৪ সালে

প্রশ্নঃ মেদিনীপুর পৌরসভা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৮৬৫ সালে।

প্রশ্নঃ খড়গপুর পৌরসভা তৈরি হয় কত সালে?

১৯৫৪ সালে 

প্রশ্নঃ এগরা পৌরসভা কবে তৈরি হয়?

১৯৯৩ সালে

প্রশ্নঃ হলদিয়া পৌরসভা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৯৯৭ সালে

প্রশ্নঃ পাশকুড়া পৌরসভা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

২০০২ সালে।

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কতগুলি থানা আছে  - ২৩ টি থানা(মহিলা থানা ও সাইবার পিএস ধরে)  

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রধান প্রধান ফসলের নাম কি?

 ধান, পাট , মুহুয়া , শাল

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাটি কি রকম

 ল্যাটেরাইট

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলার একটি পাহারের নাম

 বেলপাহাড়ি

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম জেলার একটি খনিজ দ্রবের নাম কি

 মাঙ্গানিজ , (বেলপাহাড়ি)

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া কীসের জন্য বিখ্যাত

পেট্রোলিয়াম শিল্পের জন্য 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কি কি নদী আছে?

 কাসাই,শিলাই , সুবর্ণরেখা , দ্বারকেশ্বর

ঝাড়গ্রাম জেলার জেলার দর্শনীয় স্থান কি কি?

 ঝাড়গ্রাম,চিল্কিগড়,বেলপাহাড়ি, কনকদুর্গা মন্দির, গোপীবল্লভপুর ইকো পার্ক, ডিয়ার পার্ক ইত্যাদি 

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান কি কি?

গোপগড় হেরিটেজ পার্ক (মেদিনীপুর শহরের নিকটবর্তী),হাতিবাড়ি অরন্য ও পাখিরালয়,গুড়্গুড়িপাল হেরিটেজ পার্ক,গনগনি (গড়বেতা),রামেশ্বর মন্দির ও তপোবন (রোহিনীর নিকটবর্তী), নাড়াজোল রাজবাড়ি, বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান, দাঁতনের মোঘলমারি ইত্যাদি। 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান কি কি?

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলিতে পরিপূর্ণ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দীঘা সৈকত, তাজপুর সৈকত, শঙ্করপুর সৈকত, চন্দনেশ্বর মন্দির (উড়িষ্যা তে অবস্থিত), মহিষাদল রাজবাড়ি, গেওখালি, হিজলি শরিফ, ইত্যাদি। 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সতী পীঠের নাম কর।

দেবী বর্গভীমা মন্দিরটি ১১৫০ বৎসরের প্রাচীন কালি মন্দির এবং এটি ৫১ শক্তিপিঠের মধ্যে একটি। পুরাণের মতে, সতী / পার্বতীর বাম পায়ের গোরলি এখানে পড়ে ছিল।

প্রশ্নঃ ক্ষীরাই কোন জেলায় অবস্থিত?

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।

প্রশ্নঃ গেওখালি কোন জেলায় অবস্থিত?

গেঁওখালি মহিষাদল থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, এটি তিনটি নদীর সংযোগ স্থল এবং পিকনিক স্পট, এটি পূর্ব মেদিনীপুউর জেলায় অব্বস্থিত। 

প্রশ্নঃ মহিষাদল রাজবাড়ির ইতিহাস সম্বন্ধে কি জান?

মহিষাদল রাজবাড়ির ইতিহাস ষোড়শ শতাব্দীর, যখন বর্তমান স্থান "জিওখালী" "জীবনখালী" নামে পরিচিত ছিল। এই সময়েই সম্রাট আকবর ভারতে রাজত্ব করছিলেন এবং মহিষাদল রাজ বাড়ি জনার্দন উপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যিনি সম্রাটের সেনাবাহিনীর একজন উচ্চ পদস্থ কর্মী ছিলেন। রাজা জনার্ধন উপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজা দুর্যোধন উপাধ্যায়, রাজা রামশরণ উপাধ্যায়, রাজা রাজারাম উপাধ্যায়, রাজা সুখ লাল উপাধ্যায়, রাজা অনাদলাল উপাধ্যায়ের কাছে রাজত্ব হস্তান্তরিত হয়। এই পর্যায়েই রাজা অনাদলাল উপাধ্যায় মারা যান এবং তাঁর স্ত্রী রানী জানকী দেবী 1770-1804 সালে মহিষাদল এস্টেট শাসন করতে শুরু করেন। মদন গোপাল জিউ মন্দির হল মহিষাদলের প্রধান মন্দির ছাড়াও রাম জেউ মন্দির দধিবামন ইহুদি এবং নন্দীগ্রামের জানকীনাথ মন্দির রাণী জানকী নির্মিত কয়েকটি মন্দির। মদনগোপাল মন্দির ১৭৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৭৭৬ সালে বিখ্যাত রথযাত্রা শুরু হয় যা আজও মহিষাদল রাজবাড়িতে প্রাচীন দুর্গাপূজার পাশাপাশি বাংলার অন্যতম বিখ্যাত উৎসব।

এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তান ছিল রানী মন্থরা দেবী, যার পরে বংশ তার পুত্র রাজা গুরু প্রসাদ গর্গের কাছে বর্তমান শঙ্কর প্রসাদ গর্গ এবং হর প্রসাদ গর্গের কাছে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে সূর্য্য প্রসাদ গর্গ এই পরিবারের যুবরাজ। সম্প্রতি দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান গ্রহণ নিয়ে রাজবাড়ির পুজো খবরে এসেছে। মহিষাদলের রথ বিখ্যাত। 

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুরে আর কি কি রাজবাড়ি আছে?

ময়না/ময়নাগড় রাজবাড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর,  তমলুক রাজবাড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর, পচেটগড় রাজবাড়ি, কাজলাগড় রাজবাড়ি ইত্যাদি।  পচেটগড় এবং ময়নাগড়ে রাস উৎসব বিখ্যাত। 

ময়নাগড়ের প্রতিষ্ঠা – গোবর্ধন সামন্তের সফল অভিযানের ফলে উৎকলের গজপতি রাজা তাকে ময়নাগড়ের সামন্ত রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং বাহুবলীন্দ্র উপাধী দান করেন।  

কাজলাগড় রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা – গোবর্ধন রানাঝম্প (গোবর্ধন চৌধুরী) , এই রাজ দরবারে ভূমি সংস্কার দপ্তরে চাকরি করতেন দ্বিজেন্দ্র লাল রায় (ডি এল রায়)। 

তমলুক রাজবাড়ি - ৯০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে তমলুক পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাজা কালু ভূঁইয়া  ছিলেন একজন দৃঢ় প্রশাসক। 

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রামে কি কি রাজবাড়ি আছে?

চিল্কিগড় রাজবাড়ি, ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি, লালগড় রাজবাড়ি।

রাজা সর্বেশ্বর সিং রাজপূত সামরিক বাহিনী ও অশ্বারোহী বাহিনীর সহায়তায় জঙ্গলখণ্ড আক্রমণ করেছিলেন ও মাল রাজাকে পরাস্ত করে মল্লদেব উপাধি ধারণ এবং ঝাড়গ্রাম নামে তার রাজধানী স্থাপন করেন

রামগড় ও লালগড় রাজবাড়ি - প্রতিষ্ঠাতা গুণচন্দ্র ও উদয়নচন্দ্র ভট্ট মধ্যপ্রদেশের এটাওয়া জেলা থেকে ভাগ্য সন্ধানে এসেছিলেন। তাঁদের হাত ধরেই রামগড় ও লালগড় রাজবংশের পত্তন হয়েছিল।

এটা মনে করা হয়, চিল্কিগড়ের রাজা ধলরাজকে পরাজিত করে সূর্য বংশী রাজা জগৎদেব নিজেকে রাজা ধবলদেব হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন । পরবর্তীতে চিল্কিগড়ের রাজ পরিবারকে ধবলদেব বলা হয় ।

প্রশ্নঃ পশ্চিম মেদিনীপুরে কি কি রাজবাড়ি আছে?

নাড়াজোল রাজ বাড়ি, জাড়া জমিদার বাড়ি, রামজীবনপুর রাজবাড়ি, নাড়াজোল রাজের গোপ প্যালেস (বর্তমানে গোপ কলেজ), মেদিনীপুর শহরের মল্লিক বাড়ি যেটি জন্মেঞ্জয় মল্লিক স্থাপন করেছিলেন। 

নাড়াজোল রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা উদয় নারায়ণ ঘোষ, রামজীবনপুর রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা – সতীশ চন্দ্র সিংহ, জাড়া জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা – রাম গোপাল রায়।

প্রশ্নঃ মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রথম বিধায়িকা কে ছিলেন?

১৯৫৭ সালে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন রানী অঞ্জলি খান। নাড়াজোল রাজ অমরেন্দ্রলাল খানের স্ত্রী। রানী হিসাবে তিনি তাঁর দুটি বাড়ি দুটি জলেজের জন্য দান করেন। গোপ প্যালেসটি দেন গোপ কলেজের জন্য আর নাড়াজোল রাজবাড়িটি দেন নাড়াজোল রাজ কলেজের জন্য। 

প্রশ্নঃ নাড়াজোল রাজবাড়ির গোপ প্যালেসে কে কে অতিথি হিসাবে ছিলেন?

নেতাজী, মহত্মা গান্ধী এবং আরও অনেকে।

প্রশ্নঃ মেদিনীপুরের প্রথম কালেক্টার কে ছিলেন?

মিঃ পিয়ারস মেদিনীপুরের প্রথম কালেকটর নিযুক্ত হন ১৭৭৭ খ্রীঃ

প্রশ্নঃ মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল কত সালে স্থাপিত হয়?

১৮৩৪ খ্রীষ্টাব্দে মেদিনীপুর কলিজিয়েট স্কুল স্থাপিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

প্রশ্নঃ মেদিনীপুর মহাবিদ্যালয় কত সালে স্থাপিত হয়?

মেদিনীপুর মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৮৮৩ সালে

প্রশ্নঃ কত সালে অরবিন্দ ঘোষ মেদিনীপুর আসেন। হেমচন্দ্র দাস কানুনগো, সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং ঞ্জানেন্দ্রনাথ বসু মেদিনীপুরে সশস্ত্র বিপ্লবী দল গড়ে তোলেন?

১৯০২ সালে।

প্রশ্নঃ ক্ষুদিরাম বসু কত সালে মারা যান?

১৯০৮ সালে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে আক্রমণ করেন। দূর্ভাগ্যবসত মিঃ ও মিসেস কেনেডি মারা যান। ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয়, প্রফুল্ল চাকি আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয় ১৯০৮ সালের ১১ই আগষ্ট। 

প্রশ্নঃ ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম কবে হয়?

১৮৮৯ সালের ৩রা ডিসেম্বর কেশপুরের মোহবনী গ্রামে মতান্তরে হবিবপুরে তাঁর জন্ম। পিতা ত্রৈলক্যনাথ বসু মা লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী, দিদি অপরূপা (ক্ষুদ দিয়ে কিনেছিলেন বলে নাম ক্ষুদিরাম) 

প্রশ্নঃ গান্ধীজী কত সালে প্রথম মেদিনীপুরে আসেন?

প্রিন্স ওয়েলস এর ভারত আগমনে মেদিনীপুরে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পরে। গান্ধিজি মেদিনীপুর আসেন ১৯২০ সালে।

প্রশ্নঃ নেতাজী কবে প্রথম মেদিনীপুরে আসেন?

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এর নেতৃত্বে চৌকিদারি শুল্ক প্রথা অবলুপ্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। নেতাজী মেদিনীপুরে আসেন ১৯২৯ সালে। ১৯৩১ সালে হিজলি হত্যাকান্ডের পর আসেন,  উনি ১৯৩৮ সালে আবার আসেন ঘাটালে।

প্রশ্নঃ পিছাবনি নাম কেন?

পূর্ব মেদিনীপুরে লবন আইন আন্দোলনকে ঘিরে এই অঞ্চলের মানুষরা অত্যাচারী পেডির লাল চোখকে পাত্তা না দিয়ে পিছিয়ে যায়নি আন্দোলন থেকে, তাই এই স্থানের নাম পিছাবনি। 

প্রশ্নঃ জেলা শাসক পেডিকে কবে হত্যা করা হয়?

জ্যোতিজীবন ঘোষ ও বিমল দাশগুপ্ত জেলা কালেকটর মিঃ জেমস পেডিকে হত্যা করেন ১৯৩১ সালে।

প্রশ্নঃ জেলা শাসক ডগলাসকে হত্যা করা হয় কবে?

১৯৩২ সালে প্রদ্যুত ভট্টাচার্য্য এবং প্রভাংশু শেখর পাল জেলা বোর্ডের মিটিং হলে (বর্তমান জেলা পরিষদের মিটিং হলে) প্রবেশ করে মিটিং চলা কালীন ডগলাসকে গুলি করে খুন করেন। 

প্রশ্নঃ জেলা শাসক বার্জকে কে কবে হত্যা করে?

১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান।

প্রশ্নঃ এপ্রিল আতঙ্ক কি?

পেডি ও ডগলাস এই ফুই জেলা শাসককে এপ্রিল মাসে খুন করা হয় যথাক্রমে ৭ই এপ্রিল, ১৯৩১ ও ৩০ শে এপ্রিল ১৯৩২, এই জন্য বৃটিশরা ভয় পেয়েছিলো। বার্জও গোটা এপ্রিল মাস বাড়ি থেকে বেরোননি।

প্রশ্নঃ বিমল দাসগুপ্ত পালিয়ে যান, তাঁকে পুলিশ খুঁজছিল, তখন কানাইলাল ভট্টাচার্য্য বিমল দাসগুপ্ত ছদ্মনাম নিয়ে কাকে খুন করে শহীদ হন?

বিচারক গার্লিককে যিনি দীনেশ গুপ্ত ও রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের মৃত্যদন্ড দিয়েছিলেন। সেই গার্লিককে এজলাসেই গুলি দিয়ে ঝাঁজরা করে নিজে পটাশিয়াম সায়নায়েড খেয়ে শহীদ হন। তাঁর পকেট থেকে বিমল দাসগুপ্ত পরিচয়ের কাগজ পাওয়া গেছিল।

প্রশ্নঃ ক্ষুদিরামকে কে সত্যেন বসুর সাথে পরিচয় করান?

দাসপুরের বিপ্লবী পুর্ণচন্দ্র সেন, যিনি কোলকাতা প্রে কলাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং আলিপুর বোমা মামলার আসামী ছিলেন।

প্রশ্নঃ ক্ষুদিরাম যে বোমা মেরেছিলেন সেই বোমা কার তৈরী?

অভিরাম যার ছদ্মনাম সেই মেদিনীপুরের অস্ত্রগুরু হেমচন্দ্র রায় কানুনগোর

প্রশ্নঃ বিদ্যাসাগর বিশ্ব বিদ্যালয় কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৮১ সালে

প্রশ্নঃ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

২০০৪ সালে

প্রশ্নঃ মেদিনিীপুর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় খবরের কাগজ কি কি?

 বিপ্লবী সব্যসাচী, মেদিনীপুর টাইমস, ছাপা খবর এবং দৈনিক উপত্যকা

প্রশ্নঃ মেদিনীপুরে ইল ইন্ডিয়া রেডিও এর একটি সম্প্রচার কেন্দ্র আছে তার নাম কি?

আকাশবাণী মেদিনীপুর।

প্রশ্নঃ ঋষি রাজনারায়ণ গ্রন্থাগার কোথায় অবস্থিত?

মেদিনীপুর শহরে 

প্রশ্নঃ বর্তমান প্রজন্মের এক বিখ্যাত অভিনেতার জন্মস্থান মেদিনীপুর শহর, তিনি কে?

অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য

প্রশ্নঃ অভিনেতা ও সাংসদ দেব বা দীপক অধিকারীর জন্মস্থান কোথায়?

মেদিনীপুরের কেশপুর

প্রশ্নঃ ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ কে?

কুনার হেমব্রম, এই লোকসভা কেন্দ্রটি ১৯৬২ সালে সৃষ্টি হয়।

প্রশ্নঃ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রথম সাংসদ এবং বর্তমান সাংসদ কে?

প্রথম সাংসদ নিকুঞ্জ বিহারী চৌধুরী প্রথম সাংসদ। বর্তমান সাংসদ দেব বা দীপক অধিকারী। এর আগে এখানে গুরুদাস দাশগুপ্ত সাংসদ ছিলেন।

প্রশ্নঃ তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রথম সাংসদ ও বর্তমান সাংসদ কে?

প্রথম সাংসদ দিলেন সতীশ চন্দ্র সামন্ত এর পর সুশীল কুমার ধারা, লক্ষ্মন শেঠ, শুভেন্দু অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী এবং বর্তমানে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (প্রাক্তন বিচারপতি)

প্রশ্নঃ কাঁথি লোকসভার প্রথম ও বর্তমান সাংসদ কে?

বসন্ত কুমার দাস প্রথম এবং সৌমেন্দু অধিকারী বর্তমান সাংসদ

প্রশ্নঃ মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রথম ও বর্তমান সাংসদ কে?

প্রথম – ভরত লাল টুডু এবং বর্তমান – অভিনেত্রী জুন মালিয়া

প্রশ্নঃ বাঁদরভুলা সংগ্রহশালা কোন জেলায় আছে?

ঝাড়গ্রাম জেলায়

প্রশ্নঃ তপোবন নামক পর্যটন স্থল কোন জেলায় আছে?

ঝাড়গ্রাম জেলায়

প্রশ্নঃ কনকদূর্গা মন্দির কোথায়?

ঝাড়গ্রামে

প্রশ্নঃ কোদপাল ইকোট্যুরিজম পার্ক কোন জেলায় আছে?

ঝাড়গ্রাম জেলায়

প্রশ্নঃ হিজলী জেল কোথায় অবস্থিত?

এখন যেখানে খরগপুর আই আই টি, সেখানে আগে ছিল হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্প। এখন্ন একটি মিউজিয়াম স্থাপিত হয়েছে। এখানে ১৯৩১ সালে সন্তোষ কুমার মিত্র ও তারকেশ্বর সেনগুপ্ত নামে দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী এই ক্যাম্পেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সুভাষচন্দ্র বসু তাদের মৃতদেহ সংগ্রহ করতে এখানে আসেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘প্রশ্ন’ কবিতাটি রচনা করেন। এই সন্তোষ মিত্রের নামেই কোলকাতার বিখ্যাত পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।

প্রশ্নঃ নেহরু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংগ্রহশালা কোথায় আছে?

খরগপুরে যেখানে হিজলি জেল ছিল সেখানে

প্রশ্নঃ দীনেশ গুপ্তের রিভালবার বই থেকে এই জেলার স্বাধীনতা আন্দোলনের বর্ণনা পাওয়া যায়, বইটি কার লেখা?

মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তনী সান্মাত্রানন্দের।

প্রশ্নঃ মেদিনীপুরে বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স এর দায়িত্ব কার উপর বর্তায়?

দীনেশ গুপ্ত, যার দলের সদস্যারা পর পর তিনজন জেলা শাসককে হত্যা করে। ১৯৩০ সালের ৮ ই ডিসেম্বর দীনেশ গুপ্ত বিনয় ও বাদল কে নিয়ে অলিন্দ যুদ্ধ করেন। বিচারে তাঁর ফাঁসি হয়।

প্রশ্নঃ মাতঙ্গিনী হাজরা কবে শহীদ হন?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ সেপ্টেম্বর তদানীন্তন মেদিনীপুর জেলার বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার সামনে ব্রিটিশ ভারতীয় পুলিশের গুলিতে তিনি শহিদ হয়েছিলেন। তিনি 'গান্ধীবুড়ি' নামে পরিচিত ছিলেন।

প্রশ্নঃ মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম কোন গ্রামে?

তমলুকের আলিনান গ্রামে

প্রশ্নঃ দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্ম কোথায়?

চন্ডীভেটি গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম মামলার আইনজীবী ছিলেন, মেদিনীপুর জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। কোনো দিন মাথা নোয়াননি, শোনা যায় তাঁর মৃত্যুর পর দাঁড় করিয়ে দাহ করা হয়েছিল। 

প্রশ্নঃ ক্ষুদিরাম ইকো পার্ক কোথায় অবস্থিত?

মেদিনীপুর শহরের কেন্দ্রেই অবস্থিত

প্রশ্নঃ আশাপূর্ণা দেবী রেল স্টেশন কোথায় অবস্থিত?

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মন্দারমণির কাছে চাউলখোলায় তমলুক দীঘা রেল লাইনে অবস্থিত

প্রশ্নঃ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার নিয়ে কি জানেন?

১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে এটি ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমান্তরাল জাতীয় সরকার।  সর্বাধিনায়ক হন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। অজয় মুখার্জী ছিলেন এর অর্থ সচিব, সুশীল ধারা ছিলেন সরাষ্ট্র ও সমর সচিব।

প্রশ্নঃ অজয় মুখোপ্যাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের কত তম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন?

চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী, তিনি যুক্তফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। 

প্রশ্নঃ আভা মাইতি কে ছিলেন?

আভা মাইতি ছিলেন একজন স্বাধীনতা স্নগ্রামী নারী, তিনি সারা জীবন অবিবাহিত ছিলেন, তাঁকে মেদিনীপুরের অগ্নিকন্যা বলা হয়। তাঁর শিক্ষক পিতা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী নিকুঞ্জ বিহারী মাইতি এবং মাতা অহল্যা দেবী দুজনেই ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সারাজীবন অবিবাহিতা ছিলেন। 

প্রশ্নঃ আভা খাটুয়া কে?

পশ্চিম মেদিনীপুরের শটপুট খেলোয়ার, তাঁর জন্ম খুড়শি তে। ২০২৩ এশিয়াডে রূপো জয়ী। 

প্রশ্নঃ ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত কে ছিলেন?

ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত (১৮ই মার্চ, ১৯১৯- ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০০১) সিপিআইয়ের একজন রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ভারতের সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা সাংসদ, যিনি মোট ১১ বার লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন।

প্রশ্নঃ অনিল ঘড়াই কে ছিলেন?

কথাশিল্পী অনিল ঘড়াই (১ নভেম্বর, ১৯৫৭—২৩ নভেম্বর, ২০১৪) ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের একজন বাঙ্গালী সাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যে তার অবস্থান অনন্য। দলিত ও প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে সাহিত্যচর্চার সুবাদে তাকে অন্ত্যজ জীবনের রূপকার বলা হয়ে থাকে। তাঁর জন্ম পূর্ব মেদিনীপুরের রুক্মীনীপুর গ্রামে। 

প্রশ্নঃ ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠীর জন্ম কোথায়?

অমলেশ ত্রিপাঠী (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ - ১৮ জুন ১৯৯৮) একজন ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ ও অধ্যাপক। আধুনিক ভারতের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক ইতিহাস রচনায় ছিলেন পথিকৃৎ। তিনি ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে “ইতিহাস ও ঐতিহাসিক” গ্রন্থটির জন্য আনন্দ-সুরেশ স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন। হলদিয়ার দেভোগ গ্রামে তাঁর জন্ম। 

প্রশ্নঃ প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অশোক দিন্দার জন্ম কোথায়?

পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নাতে। তিনি ময়নার বিধায়কও ছিলেন। 

প্রশ্নঃ ঈশানচন্দ্র বসু কে ছিলেন?

মেদিনীপুর বিদ্যালয়ে রাজনারায়ণ বসুর প্রিয় ছাত্র ছিলেন তিনি। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার বিশিষ্ট লেখক ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম সহ-সম্পাদক ছিলেন।

প্রশ্নঃ বিপ্লবী আশুতোষ কুইলা কে ছিলেন?

আশুতোষ কুইলা (১৯২৪ - ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪২) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি বিদ্যুৎবাহিনী বিপ্লবী দলের সভ্য ছিলেন। ভারত ছাড় আন্দোলনকালে মহিষাদলে পুলিস স্টেশন আক্রমণের সময় পুলিসের গুলিতে শহীদ হন।

প্রশ্নঃ প্রাক্তন মন্ত্রী কিরণময় নন্দের বাড়ি কোথায়?

পূর্ব মেদিনীপুরের মুগবেড়িয়ায়

প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী এবং ঘাটালের দ্বিতীয় সাংসদ একজনই  ছিলেন যার জন্ম পূর্ব মেদিনীপুরের কলাগেছিয়ায়। তাঁর নাম কি?

নিকুঞ্জবিহারী মাইতি (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮৯২ - ১৯ মে ১৯৭০) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় লোকসভার সদস্য ছিলেন ও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি 'মাস্টারমশাই' নামে খ্যাত ছিলেন। তিনি মেদিনীপুর জেলার অন্তর্ভূক্ত খেজুরী থানার কলাগাছিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রী অহল্যা (মাইতি) ছিলেন সত্যাগ্রহী এবং কন্যা আভা মাইতি ছিলেন রাজনীতিবিদ এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী।

প্রশ্নঃ একাধারে বিপ্লবী আবার একাধারে ডাক্তার যদুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম কোথায়?

যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায় (১৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৬ - ৩০ আগস্ট, ১৯৭৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম চমকপ্রদ চরিত্র, বিপ্লবী অনুশীলন সমিতির অবিসংবাদী নেতা ও প্রখ্যাত চিকিৎসক। রাজনীতিক্ষেত্রে তিনি বাঘা যতীন, অরবিন্দ ঘোষ, মানবেন্দ্রনাথ রায়, মতিলাল রায় প্রভৃতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। যুগান্তর পার্টির কর্ণধার হিসেবে তিনি ইশতেহার প্রচার করে বিপ্লবী সংগঠন তুলে দিয়ে বাংলার বিপ্লবীদের কংগ্রেসের মাধ্যমে গণআন্দোলনে অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। উচ্চাঙ্গ সংগীত বিশারদ ও সুসাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর জন্মস্থান তমলুকে। 

প্রশ্নঃ নন্দীগ্রামের শহীদ জননী যিনি পরে বিধায়িকা হয়েছিলেন তাঁর নাম কি?

ফিরোজা বিবি।

প্রশ্নঃ বিখ্যাত বিজ্ঞানী মণি ভৌমিকের জন্মস্থান কোথায়?

ড.মণিলাল ভৌমিক বা সংক্ষেপে মণি ভৌমিক হলেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি মার্কিন পদার্থবিদ ও বিখ্যাত লেখক। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি বিজ্ঞানী একই সঙ্গে আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি এবং ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স-এর ফেলো নির্বাচিত হন। তাঁর জন্মস্থান শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শিউড়ি গ্রামে। তাঁর পিতা একজন কৃষক ছিলেন। 

প্রশ্নঃ উমা সরেন কী জন্য বিখ্যাত?

উমা সরেন (সাঁওতালি:ᱩᱢᱟ ᱥᱚᱨᱮᱱ) হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি ঝাড়গ্রাম থেকে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ভারতের প্রথম সাঁওতালি নারী লোকসভা সদস্য।

প্রশ্নঃ খ্যান্তবালা রায় কে ছিলেন?

খ্যান্ত বালা রায় (জন্ম ১৮৯৭) একজন বাঙালি খ্রিস্টান শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯২৩ সালে মেদিনীপুরের মিশন গার্লস হাই স্কুলের প্রধান ছিলেন।

প্রশ্নঃ চিন্তামণি কর কে ছিলেন?

চিন্তামণি কর (ইংরেজি: Chintamoni Kar; জন্ম : ১৯ এপ্রিল , ১৯১৫ – মৃত্যু: ৩ অক্টোবর ,২০০৫) একজন বিশিষ্ট ভারতীয় ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী। ভারত এবং ফরাসি সরকারের কাছ থেকে তিনি অসামরিক পুরস্কারে ভূষিত হন। গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে ১৯৪৮ অলিম্পিকে তিনি শিল্প বিভাগে রূপো জেতেন। তাঁর জন্মস্থান খড়গপুর।

প্রশ্নঃ চুনী কোটাল কে ছিলেন?

চুনি কোটাল (১৯৬৫ - ১৪ আগস্ট ১৯৯২) একজন দলিত আদিবাসী মহিলা ছিলেন, যিনি ১৯৮৫ সালে লোধা শবর সম্প্রদায়ের প্রথম মহিলা স্নাতক হন। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালদহি গ্রাম জন্মগ্রহণ করেন।  বছরের পর বছর অফিসের কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানির ফলে ১৯৯২ সালের ১৬ আগস্ট তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। এবং এর ফলে লোধ শবর সম্প্রদায় তাদের অধিকার এবং বিচারের জন্য একত্রিত হয়। এমনকি ভারতের উল্লেখযোগ্য লেখক-এক্টিভিস্ট মহাশ্বেতা দেবী তার বিয়াধথান্দা (১৯৯৪), (দি বুক অব দি হান্টার (২০০২)) নামক বাংলা গ্রন্থে চুনি কোটালের আত্মহত্যার বিষয়টি আলোকপাত করেন।

প্রশ্নঃ নবজীবন ঘোষ কে ছিলেন?

নবজীবন ঘোষ (আনুমানিক ১৯১৬ ― ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬) একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদ। তাঁর দাদা নির্মল জীবন ঘোষের ফাঁসি হয় বার্জ হত্যার জন্য। নবজীবন ঘোষও বন্দী অবস্থায় অত্যাচারে মারা যান। আর এঁদের দাদা বিনয় জীবন ঘোষ, কলেজে অধ্যাপনা করতেন। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বিনয় জীবন ঘোষ ম্যাজিস্ট্রেট হত্যা নিয়ে একটি বই রচনা করেন।

প্রশ্নঃ নলিনী বেরা কে ছিলেন?

নলিনী বেরা (জন্ম: ২০ জুলাই, ১৯৫২ খ্রি:) একজন বাঙালি সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক।

নলিনী বেরার জন্ম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোপীবল্লভপুরের নিকট বাছুরখোয়াড় গ্রামে। ছোটবেলা থেকে দারিদ্রের সাথে লড়াই করে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তাঁর শিক্ষা সম্পন্ন হয় মেদিনীপুর কলেজে ও পরে নকশাল আন্দোলনের কারণে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে। ১৯৭৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক হিসাবে চাকরিতে ঢোকেন। তিনি বঙ্কিম পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রশ্নঃ ডঃ পরেশনাথ বন্দোপাধ্যায় কে ছিলেন?

ডাঃ পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ( ২১ অক্টোবর ১৮৮৯ ― ১১ জানুয়ারি ১৯৭১) ছিলেন একজন খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। মিহিজামের পরেশবাবু নামে পরিচিত তিনি পরবর্তীতে জনপ্রিয় হন ডাঃ পি ব্যানার্জি (মিহিজাম) নামে। তাঁর পিতাআ ঈশানচন্দ্র বন্দোপাধায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আত্মীয়।

প্রশ্নঃ ব্যোমকেশ চক্রবর্তী কে ছিলেন?

ডঃ ব্যোমকেশ চক্রবর্তী (ইংরেজি: Byomkesh Chakraborty or Byomkesh Chakrabarty) (১৯২৩ – ১৯৮১) বাঙালি ভাষা গবেষক হিসাবে বিভিন্ন জাতিগত ভাষার উপরে কাজ করেছেন। একজন খাাতিমান শিক্ষাবিদ ও কবি হিসাবেও তার পরিচিতি ছিল। বাংলা ভাষায় সাঁওতালি ভাষার এবং সাঁওতালি ভাষার উপর বাংলা ভাষার কতটা প্রভাব ছিল এগুলোই ছিল ওনার প্রধান গবেষণার বিষয়। তিনি এই গবেষণার মাধ্যমে বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার নতুন নতুন দিক খুলে দেন। তাঁর জন্ম খড়ারের গোপীনাথপুরে।

প্রশ্নঃ বিমান বিহারি দাস কেন বিখ্যাত?

বিমান বিহারী দাস একজন ভারতীয় ভাস্কর এবং কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্টের প্রিন্সিপাল। ২০১৪ সালে, ফাইন আর্টসে তার অবদানের জন্য, ভারত সরকার তাঁকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী প্রদান করে, সম্মানিত করে। তাঁর জন্মস্থান তমলুক।

প্রশ্নঃ ব্রজকিশোর চক্রবর্তী কে ছিলেন?

ব্রজকিশোর চক্রবর্তী (জন্ম: ১৯১৩ - মৃত্যু: ২৫ অক্টোবর ১৯৩৪) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম সংগ্রামী ও শহীদ। তিনি গোপন বিপ্লবী দল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করে মেদিনীপুরের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ হত্যা ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত হন। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে তিনি ফাঁসিতে শহীদ হন।

প্রশ্নঃ সাহিত্যিক ভগীরথ মিশ্রের বাড়ি কোথায়?

ভগীরথ মিশ্রের জন্ম ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি (৫ ফাল্গুন ১৩৫৪ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার অধুনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়ারি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত সাঁতরাপুর গ্রামে। তিনি সিভিল সার্ভিসে ছিলেন। অনেক বই লিখেছেন।

প্রশ্নঃ রাজনারায়ণ বসু কে ছিলেন?

চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক ছিলেন। মেদিনীপুরের তিনি স্কুল ও লাইব্রেরী করেছিলেন, রাজনারায়ণ বসুর এক ভ্রাতুষ্পুত্র ছিলেন বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, যার প্রেসিডেন্সি জেলে ফাঁসি হয়েছিল। রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাইকে গুলি করে হত্যা করার জন্য ২৩ নভেম্বর, ১৯০৮ সনে সত্যেন্দ্র নাথ বসুর ফাঁসি হয়। একাজে তার সহযোগী ছিলেন অপর এক বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত।

প্রশ্নঃ বিপ্লবী রামকৃষ্ণ রায় সম্বন্ধে কি জানো?

রামকৃষ্ণ রায় (৯ জানুয়ারি, ১৯১২ — ২৫ অক্টোবর, ১৯৩৪) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। গোপন বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি জেলাশাসক পেডিকে ছুরি দিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মেদিনীপুরের জেলাশাসক বার্জকে হত্যা করার ব্যাপারে অংশগ্রহণ করেন। ধরা পড়ে হত্যার অভিযোগে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। মেদিনীপুর জেলে তার ফাঁসি হয়।

প্রশ্নঃ সন্ন্যাসী পুরুষ নামে পরিচিত ছিলেন কোন বিপ্লবী?

রজনীকান্ত প্রামাণিক, তাঁর জন্ম পাশকুড়ার কালই গ্রামে।

প্রশ্নঃ রামেশ্বর ভট্টাচার্য্য কে ছিলেন?

রামেশ্বর ভট্টাচার্য (মতান্তরে, চক্রবর্তী) ( ১৬৭৭-১৭৪৪ খ্রি:) ছিলেন মধ্যযুগের একজন জনপ্রিয় কবি।শিবায়ন ধারার কবিদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তাঁর জন্ম ঘাটালের যদুপুরে।

প্রশ্নঃ ঘাটালের একজন সাংসদ যিনি অনেক দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং গুরুত্বপুর্ণ পদে ছিলেন তাঁর নাম কি?

শচীন্দ্র চৌধুরী (২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯০৩ – ১২ জুন ১৯৯২) ছিলেন একজন ভারতীয় আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৬৫ থেকে ১৩ মার্চ ১৯৬৭ পর্যন্ত লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া ১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি অন্তরবর্তী প্রধানমন্ত্রী গুলজারিলাল নন্দার মন্ত্রীপরিষদভুক্ত মন্ত্রীও ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় বোর্ডের সদস্য, আইন কমিশনের সদস্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। তিনি ঘাটালের সাংসদ ছিলেন।

প্রশ্নঃ সুনীতি কুমার পাঠকের জন্মস্থান কোথায়?

সুনীতিকুমার পাঠক ( ১ মে ১৯২৪ – ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি বৌদ্ধ পণ্ডিত, প্রাবন্ধিক ও গবেষক।  বৌদ্ধতন্ত্র, বৌদ্ধশাস্ত্র এবং ভাষার বৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গেছেন অবসরের পরও।  ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার এবং ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে পান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশিকোত্তম উপাধিও। তিনি ডেবরার মলিঘাটিতে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্নঃ বিদ্যাসাগর মহাশয় কবে জন্মগ্রহণ করেন?

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর , পণ্ডিত, সমাজ সংস্কারক এবং বাংলার নবজাগরণের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বীরসিংহে জন্মগ্রহণ করেন ।  (১২২৭ বঙ্গাব্দের ১২ আশ্বিন, মঙ্গলবার)

প্রশ্নঃ বিদ্যাসাগর উপাধি কবে লাভ করেন?

জন্মগ্রহণ কালে তার পিতামহ তার বংশানু্যায়ী নাম রেখেছিলেন "ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়"। ১৮৩৯ সালের ২২ এপ্রিল হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষা দেন ঈশ্বরচন্দ্র। এই পরীক্ষাতেও যথারীতি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ১৬ মে ল কমিটির কাছ থেকে যে প্রশংসাপত্রটি পান, তাতেই প্রথম তার নামের সঙ্গে 'বিদ্যাসাগর' উপাধিটি ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্নঃ নিজ গ্রাম বীরসিংহে কত সালে অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন তিনি?

১৮৫৩ সালে জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামে স্থাপন করেন অবৈতনিক বিদ্যালয়। তখন স্কুলটির নাম ছিল মিডল ইংলিশ স্কুল, বর্তমানে বীরসিংহ ভগবতী উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত এই স্কুল। 

প্রশ্নঃ বর্ণপরিচয় কবে রচিত হয়?

১৮৫৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলা নববর্ষের দিন (১লা বৈশাখ,সংবৎ ১৯১২ অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল ১৮৫৫) যুগান্তকারী বাংলা শিশুপাঠ্য বর্ণমালা শিক্ষাগ্রন্থ বর্ণপরিচয়  এর প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয়। কথিত আছে, মফস্বলে স্কুল পরিদর্শনে যাওয়ার সময় পাল্কিতে বসে তিনি বর্ণপরিচয়-এর পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করেন।  

জুন মাসে (১৪ জুন অর্থাৎ ১লা আষাঢ় সংবৎ ১৯১২) বর্ণপরিচয় গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশিত হয়।

প্রশ্নঃ বিদ্যাসাগর মহাশয় কার সাথে যৌথ মালিকানায় ‘সংস্কৃত যন্ত্র’ নামক ছাপাখানা তৈরি করেন?

মদন মোহন তর্কালঙ্কারের সাথে যৌথ মালিকানায়। 

প্রশ্নঃ বিধবা বিবাহ কবে আইন সিদ্ধ হয়?

১৮৫৬ সালের ১৬ জুলাই বিধবা বিবাহ আইনসম্মত হয়।

এই বছর ৭ ডিসেম্বর কলকাতায় প্রথম বিধবা বিবাহ আয়োজিত হয় ১২, সুকিয়া স্ট্রিটে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। পাত্র ছিলেন প্রসিদ্ধ কথক রামধন তর্কবাগীশের কণিষ্ঠ পুত্র তথা সংস্কৃত কলেজের কৃতি ছাত্র ও অধ্যাপক, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বন্ধু শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন। পাত্রী ছিলেন বর্ধমান জেলার পলাশডাঙা গ্রামের অধিবাসী ব্রহ্মানন্দ মুখোপাধ্যায়ের দ্বাদশ বর্ষীয়া বিধবা কন্যা কালীমতী।

প্রশ্নঃ বিদ্যাসাগর মহাশয় কবে মৃত্যুবরণ করেন?

বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রয়াত হন ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই, বাংলা ১২৯৮ সনের ১৩ শ্রাবণ, রাত্রি দুটো আঠারো মিনিটে তার কলকাতার বাদুড়বাগানস্থ বাসভবনে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর ১০ মাস ৪ দিন। মৃত্যুর কারণ, ডাক্তারের মতে, লিভারের ক্যানসার।

প্রশ্নঃ সুস্মিতা সিংহ রায় সম্বন্ধে কি জান?

সুস্মিতা সিংহ রায় (  ২৬ শে মার্চ ১৯৮৪ মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ) একজন ভারতীয় হেপ্টাথালিট। তিনি আইএএএফ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ( ২০০৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়নে এবং ২০০৭ এর আম্মান, জর্দান ) স্ব স্ব বিভাগের জন্য একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।

প্রশ্নঃ শুভেন্দু মাহাতো কোন খেলার সাথে যুক্ত?

ঝাড়গ্রামের শুভেন্দু মাহাতো দৃষ্টিহীন ক্রিকেট জাতীয় দলে খেলেন। উনি গড়শালবনির কাইমা গ্রামে জন্মেছেন। বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলে খেলেছেন। 

প্রশ্নঃ প্রণতি নায়কের জন্ম কোথায় ?

প্রণতি নায়ক (জন্ম ৬ এপ্রিল ১৯৯৫)  একজন ভারতীয় শৈল্পিক জিমন্যাস্ট। তিনি ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ভল্ট ব্রোঞ্জ পদকজয়ী। তাঁর জন্ম পিংলার কারকাইতে। 

প্রশ্নঃ সূর্যেন্দুবিকাশ কর মহাপাত্র কে ছিলেন?

পশ্চিম নেদিনীপুরের মোহনপুরে জন্মলাভ করা একজন জোত্যিরপদার্থবিদ।

প্রশ্নঃ রনজিৎ সামন্ত একজন কৃষি বিজ্ঞানী ছিলেন, তাঁর জন্ম কোথায়?

মহিষাদলে।

প্রশ্নঃ ২০২৫ সালে মেদিনীপুরের কে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার হন?

মহিলা সাঁতারু আরফিন জাবি, মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা।

প্রশ্নঃ এবছর জাতীয় শিক্ষক সম্মান কে লাভ করেছেন মেদিনীপুর থেকে?

কুচলাচাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তনুশ্রী দাস। 

প্রশ্নঃ হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী  বাংলার শেষ প্রধানমন্ত্রী যিনি পরে পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তাঁর জন্ম কোথায়?

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী (জন্ম: সেপ্টেম্বর ৮, ১৮৯২ - মৃত্যু: ডিসেম্বর ৫, ১৯৬৩) ছিলেন একজন পূর্ব পাকিস্তানি বাঙালি রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও বাংলার শেষ প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের ৫ম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর জন্মস্থান মেদিনীপুর।

প্রশ্নঃ বর্তমানে অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে কে কি মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন?

মানস রঞ্জন ভূঞ্যা– সেচ ও জল পথ পরিবহণ ,জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তর

শিউলি সাহা – পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন (প্রতি মন্ত্রী )

শ্রীকান্ত মাহাতো – উপভোক্তা বিষয়ক (প্রতি মন্ত্রী) 

বীরবাহা হংসদা – স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী  বন (প্রতি মন্ত্রী)

বিপ্লব রায় চৌধুরী – মৎস্য বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী  

প্রশ্নঃ মনমোহন সিংহ সরকারের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতি মন্ত্রী ছিলেন কে?

শিশির অধিকারী

প্রশ্নঃ শেখ মুজিবর রহমান নামে একজন বিধায়ক ছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায়, তিনি কোন বিধানসভার বিধহায়ক ছিলেন?

ময়নার বিধায়ক ছিলেন। 

প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মেদিনীপুরে আসেন?

১৯৩৯ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির উদ্বোধন করতে মেদিনীপুর শহরে আসেন।

প্রশ্নঃ বীরসিংহে বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দির কবে প্রতিষ্ঠা হয়?

১৯৪০ সালের ১৭ই মার্চ, বাঙালি জেলা শাসক বিনয় রঞ্জন সেন ও সাহিত্যিক রমানন্দ চট্টোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন। জেলা শাসক বিনয় রঞ্জন সেনের স্ত্রী চিরপ্রভা সেনও উপস্থিত ছিলেন। 

প্রশ্নঃ দীঘার আদি নাম কি ছিল?

বীরকুল

প্রশ্নঃ দীঘার সমুদ্রের ওপারে কি রয়েছে?

বরফে ঘেরা আন্টার্টিকা

প্রশ্নঃ প্রাচ্যের ব্রাইটন কাকে বলা হয়?

দীঘাকে

প্রশ্নঃ জন ফ্রাঙ্ক স্নেইথ কেন বিখ্যাত?

১৯২৩ সালে জন ফ্র্যাঙ্ক স্নেইথ নামে এক ব্রিটিশ ভ্রমণকারী এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দীঘায় বসবাস শুরু করেন। তার লেখালেখির ফলে দীঘা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ভারতের স্বাধীনতার পর এখানে পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়কে উৎসাহ দেন। 

প্রশ্নঃ জুনপুট কেন বিখ্যাত?

জুনপুট: এখানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পরিচালিত মৎস্য দপ্তরের মৎস্যচাষ ও মৎস্য গবেষণাকেন্দ্র আছে।

প্রশ্নঃ পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্য বন্দর কোনটি?

পেটুয়াঘাট, দেশপ্রাণ ব্লকে অবস্থিত। 

প্রশ্নঃ কপালকুন্ডলা  মন্দির কোথায় অবস্থিত?

কাঁথির কাছে দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুরে এই মন্দির আছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যখন পূর্ব মেদিনীপুরে পোষ্টিং ছিলেন তখন উনি কপালকুন্ডলা উপন্যাস লেখেন।

প্রশ্নঃ দীঘার কাছে কোথায় বাতিঘর আছে?

দারিয়াপুরে আছে।

প্রশ্নঃ কাকরাজিতের মহাপ্রভুর মন্দির কোন ব্লকে?

পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্লকে

প্রশ্নঃ বাংলার সবচেয়ে বড় দীঘি যেটি শশাঙ্কের ইচ্ছাই খনন করা হয়েছিল সেটি কি?

দাঁতনের শরশঙ্কা দীঘি

প্রশ্নঃ মহাভারতের বকাসুর বধ হয়েছিল বলে কথিত আছে বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন কোন স্পট?

গনগনি

প্রশ্নঃ এন্টনি ফিরিঙ্গি সিনেমার শুটিং হয়েছিল কোন জমিদার বাড়িতে?

জাড়া জমিদার বাড়ি, চন্দ্রকোণা ১ ব্লকে, ঘাটাল মহকুমা।

প্রশ্নঃ নাড়াজোল রাজবাড়িতে কোন সিনেমার শুটিনং হয়েছে?

এখানে ২০১৯ এ কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মীর অভিনীত শর্ট ফিল্ম 'সত্যদার কোচিং' এর শুটিং হয়েছিল। এছাড়া শর্ট ফিল্ম 'মৃত্যুপুরী', ওয়েব সিরিজ 'কামিনী', শরৎচন্দ্রের 'মহেশ', এবং কবিগুরুর ছোটগল্প 'জীবিত ও মৃত' র বিভিন্ন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে নাড়াজোলে

প্রশ্নঃ তমলুক রাজবাড়িতে কোন ছবি শুটিং হয়েছে?

তমলুক রাজবাড়িতে হয়েছে পাহাড়ী সান্যাল ও লিলি চক্রবর্তী অভিনীত 'কেদার রাজা' সিনেমাটি। 

প্রশ্নঃ মহিশষাদলে শুটিং হয়েছে কোন সিনেমার?

 সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও সুমিত্রা মুখার্জির 'দত্তা' সিনেমায় পালকিতে করে যাওয়ার দৃশ্য. রাজীব বিশ্বাস পরিচালিত ‘খোকা ৪২০' এর গান এখানেই চিত্রায়িত হয়েছে।  অঙ্কুশ, নুসরৎ এর 'খিলাড়ি' সিনেমার শুটিংও হয়েছে।  'শিকারী'র শুটিংও হয়েছিল এখানে। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক প্রকাশ ঝা সম্প্রতি শুটিং করেছেন 'সন্ন্যাসী রাজা'র। 

 এছাড়াও মেদিনীপুরের বিভিন্ন লোকেশনে বিভিন্ন সিনেমার শুটিং হয়েছে। (বিস্তারিত- জলদর্চি ওয়েব পেজ)

উপরের বিভিন্ন তথ্য উইকিপিডিয়া, বিভিন্ন ওয়েব পেজ, জেলার ওয়েবসাইট ইত্যাদি ঘেঁটে লেখা। আপনারা এই লেখাটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করুন। ভুল থাকলে জানান এবং আরও কি কি যুক্ত করতে হবে সেটি নিয়ে আমাকে গাইড করুন।

ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি করা হয়েছে। যাতে ওঁদের ইন্টারভিউ দিতে সুবিধা হয় এবং মেদিনীপুর নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য লেখা হল



নবীনতর পূর্বতন