প্রসঙ্গ : মেয়েদের ভোট

 কলমে ড : শিবাজী বসু: একটা গনতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক দলগুলি নিজ নিজ ইস্তেহার প্রকাশ করবে এটাই নিয়ম। ক্ষমতায় এলে আগামী পাঁচ বছর দেশের জন্য বা রাজ্যের জন্য নির্বাচক মন্ডলীর জন্য কী কী করতে চায় তারই ফিরিস্তি থাকে দলীয় ইস্তহরে। দেশ বা রাজ্যের নির্বাচকমন্ডলী বলতে নারী পুরুষ উভয়কেই বোঝায়। দলীয় ইস্তেহারে আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, গ্রাম ও শহরের উন্নয়ন, সেচ, কর্মসংস্থান প্রভৃতি নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের কী পরিকল্পনা রয়েছে সেসবই ঠাঁই পায়। ভারতের এই আধা সামন্ততান্ত্রিক সমাজে নারী পুরুষের বৈষম্য নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলি তাদের বক্তব্য পেশ করে ইস্তেহারের মাধ্যমে। এতে কোনও অন্যায় নেই। বরং এটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় সমাজে নারী পুরুষের বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে সেই প্রাচীন যুগ থেকেই। আজও এই বৈষম্য বিদ্যমান। ব্রিটিশদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে আজ এই ৭৫ বছর পরও নারী পুরুষের বৈষম্য ঘুচাতে পারে নি দেশের শাসকদল। এই নিয়ে আইন রচিত হলেও তা কার্যকরী করতে গড়িমসি করছে শাসকরা। স্বাভাবিক নিয়মে মহিলারা রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তার জন্য আলাদা করে আইন করতে হয়েছে। তারপরও কি নারী পুরুষের বৈষম্য ঘুচেছে? ফলে মহিলাদের মন জয় করতে দলীয় ইস্তহারে আলাদা সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলি। আসলে রাজনৈতিক দলগুলিই প্রমান করে ছাড়ে ভারতীয় সমাজে আজও মহিলারা কতটা বৈষম্যর শিকার। তাই ভোট রাজনীতিতে মহিলাদের ভোট একটা জোরালো ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় রাজনীতিতে। নারী পুরুষের বৈষম্য ঘোচানো না, শুধুই ক্ষমতা দখলের জন্য মহিলাদের জন্য প্রকল্প ঘোষণা টা রাজনীতি চর্চাকারীদের গোল বাঁধে বৈকি। আবার মহিলাদের জন্য আলাদা প্রকল্প ঘোষণা করে আরও কি নারী পুরুষের বৈষম্য ফারাক করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আবার মহিলাদের ভোটের দিকেই বা নজর কেন রাজনৈতিক দলগুলির? কোন তাগিদে নির্বাচনে মহিলা ভোট ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়? মহিলা ভোট ইস্যু তুলে কি মহিলাদের অপমান করা হচ্ছে? নারী সমাজকে ছোটো করা হয়নি তো? ভোটের তাগিদে কবে থেকেই বা মহিলা ভোট ইস্যু হোল? মহিলা ভোট ইস্যু কি নিম্ন মেধার রাজনীতি? এসব নিয়েই এই প্রবন্ধের অবতারণা। এটা প্রমাণিত যে, আমাদের দেশে আজও শিক্ষা সচেতনতায় আজও পিছিয়ে মহিলারা। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, দেশে সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৪ শতাংশ। তার মধ্যে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮২.১৪ শতাংশ আর মহিলা সাক্ষরতার হার ৬৫.৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ সাক্ষরতা ও সচেতনতায় পিছিয়ে আমাদের দেশের মহিলারা। আর এই মহিলাদের নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলি যত কান্নাকাটি করে। অর্থনৈতিক দিক থেকে তো বটেই, সামাজিক দিক থেকেও অনেক পিছিয়ে দেশের মহিলারা। স্বাধীন দেশের সংবিধান রচনার সময়েই নারী পুরুষের সমাধিকারের কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বাস্তবে আজও তা রূপায়ণ হয় নি। এর জন্য দায়ী শাসকদলগুলিই। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক চলতে পারে না। আরও স্পষ্ট করে বললে বলা যায়, এর জন্য পুরুষরাই দায়ী। কেননা শাসকদলের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। তাঁরা কখনই চায়নি মহিলারা তাঁদের সমকক্ষ হয়ে যাক। পুরুষ আধিপত্য খর্ব পুরুষরা চায়নি বলেই মহিলারা আজও পিছিয়ে। নারী সমাজ কে আজও সামন্ততান্ত্রিক নিয়মের বেড়াজালে আটকে রাখা হয়েছে। সভা-সমিতিতে নারী দরদী নেতা নেত্রীরা নারীর ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে নারী স্বাধীনতা, নারী স্বাবলম্বন নিয়ে কত কথাই না আউরে যান শাসকদল থেকে বিরোধী দল। এই সব নেতা নেত্রীদের কথার মারপ্যাঁচে পিছিয়ে থাকা মহিলারা প্রভাবিত হয়ে পড়ে খুব সহজেই। ভোটের অংকে এই সংখ্যা কিন্তু কম নয়। মহিলা ভোট নিয়ে বেশি করে চর্চার আলোতে এসে পড়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে শাসকদলের নেত্রী " লক্ষ্মীর ভান্ডার " নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করে বসেন। এই প্রকল্প অনুযায়ী মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে নগদ টাকা জমার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ওই নির্বাচনে সেটাই ছিল শাসকদলের মাস্টার স্টোক। বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন নিয়ে ফের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। "লক্ষ্মীর ভান্ডার" কেই নির্বাচনে জয়ের মাস্টার স্ট্রোক বলে স্বীকৃতি দিয়েছে শাসকদল। তারপর ই দেশ জুড়ে মহিলা ভোট নিয়ে চৰ্চা বেড়ে যায়। একের পর এক রাজ্যে নগদ টাকার রাজনীতিতে নেমে পড়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলি। তবে বিভিন্ন নামে।। কোথাও লাডলি বহেনা যোজনা তো কোথাও মহালক্ষ্মী যোজনা। আসাম, তামিলনাড়ু, হিমাচল প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ পাঞ্জাব প্রভৃতি রাজ্যে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মহিলাদের সন্তুষ্ট করতে প্রতিযোগিতার আসরে নেমে পড়ে। যেন মহিলা ভোটের নিলাম শুরু হয়ে গিয়েছিল। একবারও কি এই রাজনৈতিক দলগুলি ভেবেছিলো এই বিপুল টাকা কোথা থেকে আসবে? রাজ্য কোষগার ফাঁকা করেই তো দিতে হবে এই হাজার হাজার কোটি টাকা। পিছিয়ে থাকা মহিলারাও কি ভোট দেওয়ার আগে ভেবে দেখেছিলো এই বিপুল টাকা তাঁদের ঘাড় থেকেই তুলে নিবে শাসকদল ? করের বোঝা চাপিয়ে, জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে, বিদ্যুতের মাসুল বাড়িয়ে বা আরও কতো কিছু করে ? অবশ্যই এই জটিল হিসেব নিয়ে ভাবার সময় কোথায় এই সব প্রান্তিক মহিলাদের? স্বামীরা যে নগদ টাকা তাঁদের হাতে তুলে দিতে পারে নি তা তুলে দিচ্ছে শাসক দল। এই রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ঘোষণায় খুশির জোয়ার বয়ে গিয়েছিল লক্ষ লক্ষ মহিলা ভোটারদের মধ্যে। প্রশ্ন তো উঠতেই পারে নাগরিকদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া দেশের বা একটি রাজ্যের অর্থনীতির ক্ষেত্রে কতটা যুক্তিযুক্ত। এ নিয়ে তাবড় তাবড় আর্থিনীতিবীদের মধ্যেও বাক বিতন্ডা শুরু হয়েছে। শুধু মাত্র ক্ষমতা দখলের জন্য ভোটারদের এক অংশকে প্রলুব্ধ করতে কাঁড়ি কাঁড়ি সরকারি অর্থ বিলি করার মানে কী? দেশের জ্বলন্ত সমস্যার দিকে না তাকিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এ কোন ছলনা? অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত, গরীব গুরবো মহিলাদের শিক্ষার হার না বাড়িয়ে, তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি না করে শুধু মাত্র নগদ টাকা হাতে তুলে দিয়ে কী বোঝাতে চায় শাসকদল ? এই নগদ রাজনীতির ধারণা তৈরী নিয়ে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও বিতর্ক রয়েছে। এই ধারণার কথা ১৭৯৫ সালে বলে গিয়েছেন আমেরিকান বিপ্লবী টমাস পেইন। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির, তা ধনী বা গরীব হোন, অর্থ পাওয়া উচিত অভিমানজনক সামাজিক পার্থক্য প্রতিরোধের জন্য”। একই কথার প্রতিদ্ধনি করেছেন বিশিষ্ট ইংরেজ লেখক টমাস স্পেস। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ এস্থার দুফলো নাগরিকদের হাতে বিনা শর্তে নগদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি এক সাক্ষাৎ কারে বলেছেন, “গরীব মানুষের হাতে নিঃশর্তে নগদ টাকা তুলে দিলে তাঁরা সেই টাকার যথেষ্ট সৎব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে আর বাজারে তার প্রভাবও পড়ে ( আনন্দবাজার পত্রিকা  ২৩ জুন ২০২৪ )”। এস্থার দুফলো কিন্তু কখনোই বলেননি যে কেবলমাত্র মহিলাদের হাতে বিনা শর্তে নগদ টাকা দেওয়ার। ভারতের রাজনীতির কারবারিরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে কেনলমাত্র মহিলাদের টার্গেট করেছেন। লক্ষ্য মহিলা ভোট।  এর দ্বারা রাজনীতির কারবারিরা ক্ষমতা দখল করতে মহিলাদের আর্থিক দুর্বলতাকে সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন। এই বিনা শর্তে নগদ অর্থের দান প্রথা  নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আর এক নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। অনেকে অবশ্য এই নগদ অর্থ প্রদানের ধারণাকে "ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম" ( ইউ বি আই )-র সঙ্গে তুলনা করেছেন। দুটো অবশ্য এক জিনিস যে নয় তা প্রমান করেছেন কলকাতার আই.এস.আই-র অধ্যাপক অতনু বিশ্বাস। তিনি এই ধরণের নগদ অর্থ প্রদানকে আংশিক ইউ.বি.আই বলেছেন। যাইই হোক একটা দরিদ্র পরিবারে এক বা একাধিক মহিলার হাতে এক হাজার টাকা মোটেই কম নয়। খুশি হওয়ারই কথা। রাজ্য কোষগার থেকে কোটি কোটি টাকা বের হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ভাবার সময় কোথায় একজন প্রান্তিক মহিলার? একটা প্রশ্ন তো করা যেতেই পারে নিজে পরিশ্রম করে এক হাজার টাকা উপার্জন আর কারও দানের এক হাজার টাকা গ্রহণ সম মূল্যের হতে পারে? নিজের পরিশ্রম জনিত উপার্জনে যে আত্ম মর্যাদা ও আত্মসুখ মিশ্রিত থাকে তা কি পাওয়া যায় কারও দান গ্রাহনে? মহিলা হোক বা পুরুষ কাজ চায়। কারও অনুকম্পা হয়ে থাকতে চায় না। যিনি দান প্রদান করেন কোনও না কোনও সময় খোঁটা দিতে পিছপা হন না। মনে করুন শাসকদলের সভায় মহিলাদের বারবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা মনে পড়িয়ে দেন নেতা নেত্রীরা। যে মহিলাদের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তালিকায় রয়েছে তাঁদের মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য শাসকদলের পক্ষ থেকে কিরূপ তাড়া দেন বা কী ধরণের চাপ তৈরী করা হয় তা ভুক্তভুগিরাই জানেন। অর্থাৎ মেয়েদের ভোট আসলে রাজনীতির ভোট, কোনও উন্নয়নের স্বার্থে ভোট নয়, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। এই নগদ অর্থের রাজনীতি এতটাই সফল ভোট রাজনীতির নজির হয়ে উঠেছে যে কোনও রাজনৈতিক দলই এমনকি বামপন্থী দলগুলিও বিরোধিতা করতে পারছে না। একজন পিছিয়ে থাকা মহিলাকে শিক্ষিত সচেতন ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার পরিবর্তে তাঁর একটি ভোট কিভাবে ব্যাগে ভরা যায় তা নিয়েই মাথা ব্যাথা শাসক দল থেকে বিরোধীদের। অর্থাৎ একটি মহিলা ভোটের দাম যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।  ভোটের ঢাকে কাঠি পড়লেই মহিলা ভোট কেনার নিলাম শুরু হয়ে যায় ঠিক যেন আই.পি.এল ক্রিকেটের প্লেয়ার কেনার মতোই। মেয়েদের ভোট রাজনৈতিক দলগুলির কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দেখিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক স্বাতী ভট্টাচার্য তাঁর একটি লেখায় ( আনন্দবাজার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ )। আই.এস.আই-র অধ্যাপক শুভময় মৈত্র এই ধরণের রাজনীতিকে নিম্ন মেধার রাজনীতি মনে করেছেন। কীরকম ? তিনি একটি সুন্দর ব্যাখ্যা হাজির করেছেন এই নিয়ে। তিনি বলেছেন, “একটা ১১ মাসের শিশু হাতে ধরে কিছু ছুঁড়ে ফেলতে শেখে যেমন, ঠিক সেই মাপের বুদ্ধিতে কোষাগারে জমে থাকা কোটি কোটি টাকা বিলি করতে পারেন একজন রাজা বা শাসক। ঠিক যেমন অনেক বুদ্ধি ও মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে বানামো হয়েছিল পারমাণবিক বোমা। আর সেই বোমা ফেলতে কোনও পরিশ্রমই ব্যায় করতে হয়নি রাষ্ট্র নায়ককে। ঠিক সেই রকমই রাজ্যের হাতে প্রচুর টাকা আছে, সেই টাকা নিম্নবিত্তের মধ্যে বিতরণ করবো, সেই দেখিয়ে ভোট পাবো, এর মধ্যে কোনও মেধার বিষয় নেই। ঠিক যেমন একটা শিশুর খেলনা ছুঁড়ে ফেলার মতো।  সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করে বলা যায়, এই ধরণের দান খয়রাতিতে গ্রাহকদের ক্রমশ চাহিদা বাড়তে থাকে। এক সময় এই চাহিদা পূরণ করতে অপারগ হয়ে ওঠে শাসকদল। তখনই শাসক দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় বেনিফিশিয়ারীরা। তখন চাহিদা ও চাহিদা পূরণের মধ্যে একটা শুন্যতা বা গ্যাপ তৈরী হয়। এই গ্যাপকে বলা হয় ‘কনকমিটেন্ট ভেরিয়েশন’।  এই সব সাত পাঁচ না ভেবে শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের জন্য বা টিকে থাকার জন্য এই নগদ রাজনীতি আদতে রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই ক্ষতি করা হয়। ভাবুন তো আমাদের এই দেশে বা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কী ভয়ঙ্কর সব সমস্যায় জর্জরিত মানুষজন তা নিয়ে মাথা ব্যথা আছে শাসকদলের ? মহিলাদের ভোট রাজনীতির দাবা খেলায় বোড়ে করা হচ্ছে তা কি খুব সুখকর ?



নবীনতর পূর্বতন