মনসারাম কর, ঘাটাল: চলতি বছরে বন্যা শুরু ২০ জুন, তারপর থেকে দফায় দফায় বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে ঘাটাল। এখন পঞ্চম দফা। চলতি বছরে বন্যার শুরুতেই পুলিশ প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা বন্যায় মানুষের পাশে থাকতে হবে। সেই শুরু, বন্যা মোকাবিলায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ও ঘাটাল মহকুমার সরকারি পদস্থ আধিকারিক যেমন ধারাবাহিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তেমনি ঘুম উড়েছে উর্দিধারীদের। অপরাধ দমন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার মত ধারাবাহিক কাজ সামলানোর পাশাপাশি গত দুমাস ধরে ঘাটালে বন্যা মোকাবিলায় পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়। উদ্ধারকার্য, ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পানীয়জল সরবরাহ করা, নৌকা ও স্পিডবোট ব্যবহার করে বন্যা দুর্গম এলাকায় গিয়ে অসহায় মানুষের কাছে রান্না খাবার পৌঁছে দেওয়া ধারাবাহিকভাবে চালাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। রোদ-জল-ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে নেমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে নিচু তলার উর্দিধারীরা। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার নিজে রাত বিরেতেও ছুটে চলেছেন বন্যা দুর্গতদের কাছে। প্রতি সপ্তাহে কয়েকবার করে ঘাটালে এসেছেন তিনি। প্রতিনিয়ত অ্যালার্ট থেকে ঘাটালকে নজরে রেখেছেন। মাঠে নেমে কাজ করে চলেছেন ঘাটাল দাসপুর চন্দ্রকোনা থানার অফিসার কর্মীরা। দুমাস ধরে সেই কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, সারা বছর চুরি, ডাকাতি, খুন ও রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামাতে প্রাণপাত করতে হয় পুলিশকে। সেই কাজের সাথে গত দুমাসের পুলিশের ধ্যান জ্ঞান হয়েছে বন্যা মোকাবিলা। পুলিশের সাথে সিভিক ভিলেজ পুলিশ, ডিআইবিদের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। বন্যার্তদের সমস্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন গোটা পুলিশ পরিবার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলা জুড়ে চলছে কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে রান্না খাবার বিতরণ।