"রাস্তার দুই ধারে ছিল
গাছ-গাছালির সারি,
তাই তো সবাই হেঁটে যেত
আনন্দ হত ভারি।
হারিয়ে যাচ্ছে মাথার উপর
আচ্ছাদনের পাতা,
রোদ্দুরে গা ঝলসে গেলেও
এটাই নগর কথা।
দাম না নিয়ে গাছেরা কেবল
মেলে ধরে ফুল-ফল
আকাশ ভরা মেঘ জমিয়ে
ঝরে বৃষ্টির জল।
তাই তো বলি গাছ কেটো না
গাছকে রাখো ধরে,
না হলে ভাই সবুজ ভাঁড়ার
পাব কেমন করে।
বৃক্ষরোপণ--মাটি খোঁড়ো
ঘরবাড়ির পাশে
একটি করে লাগাও গাছ
হররোজ, প্রতি মাসে"।
কবিতার এই ছন্দে রয়েছে অনেক মর্মকথা। পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে, প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। এই দায়িত্ব আমাদের। এই লক্ষ্যে ঘাটাল আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী সমীর কুমার ঘোষ তাঁর প্রায় ১২ শতক জায়গার ওপর গাছ লাগলেন। তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালে প্রখর দাবদাহ এবং প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ, আমরা জানি যে গাছ লাগানোর মধ্যে দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব। আমি আজ প্রায় পাঁচশ গাছ লাগিয়েছি। একমাত্র গাছই পারে প্রকৃতিকে ঠিক রাখতে। যথেচ্ছ গাছ কাটা এবং বনবিভাগের বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। গাছ হত্যা করা মানুষ হত্যা করার সমান। গাছ এবং মানুষ একে অপরের পরিপূরক। এইজন্য সবুজায়ন দরকার, তা নাহলে বায়ু দূষণ হবে এবং বিশ্ব উষ্ণয়ন বেড়েই চলবে। শুধু সরকারী উদ্যোগেই নয় প্রতিটি পরিবার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিলে প্রকৃতিকে অনেকাংশে বাঁচানো সম্ভব, এর ফলে প্রকান্তরে আমরা নিজেরাই ভালো থাকবো।
প্রসঙ্গত, পেশায় আইনজীবী সমীরবাবু সারাবছর একাধিক সামজিক কাজকর্ম করে থাকেন, কখনও গণবিবাহের অনুষ্ঠান, যুবকদের খেলায় উৎসাহ প্রদান, আইনি সচেতনতা শিবির,দুঃস্থদের সাহায্য, আইনি পরামর্শ সহ অনেক বিষয় নিয়ে এগিয়ে আসেন তিনি। সম্প্রতি ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন তাঁকে বিদ্যাসাগর সম্মান দিয়েছেন সামাজিক কাজের জন্য। বর্তমানে তিনি ঘাটাল মহকুমা আদালতের ক্রিমিনাল কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। পেশার বাইরে বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত থাকতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর এই সকল কাজের প্রসংশা করেছেন অনেকেই। কলেমে: মনসারাম কর, সাংবাদিক, ঘাটাল।
এলাকার খবর আমাদের সরাসরি জানাতে ফোন বা WhatsApp করুন 9647180572 নম্বরে। নিচের লিঙ্কে টাচ করে ঘাটাল রিপাবলিক টিভি ডিজিটাল মিডিয়ার WhatasApp গ্রূপে যোগ দিন 👇
আরও খবর পেতে নিচের লিঙ্কে টাচ করে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন 👇