কেজিতে নয় সব্জি বাজারে প্রতি এক’শো গ্রামের দাম বলেন বিক্রেতারা, কারণটা লুকিয়ে দামে

পাপিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক, ঘাটাল:  ব্যাগ হাতে বাজারে গেলেই দামে ছ্যাঁকা, আলু, বেগুন পটল, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, ডিম সহ অধিকাংশ সব্জির দাম আর সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে নেই। দৈনন্দিন হেঁসেল চালাতে হিমসিম অবস্থা খেটেখাওয়া মধ্যবিত্তদের। বাজারমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। কার্যত মাথায় হাত। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্কফোর্স বিভিন্ন বাজারে হানা দিলেও গত দুদিনে বাজারের অগ্নিমূল্য ছবিটার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফোড়ে ও একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কালোবাজারিতেই বাজারদর এতটা চড়া হয়েছে। আলু প্রতি কেজি ৩৩-৩৫ টাকা, বেগুন  ১০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ২০০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পেঁয়াজ-৪০ টাকা, রসুন ৩০০ টাকা, ডিম ৭ টাকা পিস। ভাবা যায় একজন দিনমজুর সে কিভাবে যোগান দেবে? কয়েকবছর আগেও কেউ একজন বাজার থেকে যেখানে ১০০ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার কিনে নিয়ে যেতেন আজ সেকথা ভাবাই যায় না।  আগে বিক্রেতারা দাম বলতেন কেজিতে আর এখন বলেন প্রতি ১০০ গ্রামের দাম! বিক্রেতাদের কথায় কেজি প্রতি দাম শুনে ক্রেতারা চমকে ওঠেন তাই প্রতি একশো গ্রামের দাম বলা হয়। সুবোধ পাল নামে ঘাটালের এক ক্রেতা বলেন, সরকার এত দিচ্ছেন এত প্রকল্প আসলে পকেটে কিছুই থাকবে না, উল্টে সাধারণ মানুষের ভাঁড়ার শুন্য হচ্ছে। বাজারে আসা প্রত্যেক ক্রেতার মুখেও এই একই কথা, চলবে কীকরে, যত টাকা নিয়েই বাজারে আসি কিছু আর ফেরত যায় না অথচ ব্যাগ ও ভর্তি হয় না। একদিকে বেকারত্ব অন্যদিকে দব্যমূল্য বৃদ্ধি দুই-এ মিলে নাজেহাল মানুষ।  সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষের বড্ড বিপদ। একশ্রেনীর মানুষ দিব্যি কেনাকাটা করে নিয়ে চলে যাচ্ছেন আবার কেউ কিনতে গিয়েও পিছিয়ে আসেন। সরকারি পদক্ষেপের পরেও ছবিটা বদলায়নি। আসলে কী সবই মেজারমেন্ট আর সেটেলমেন্ট?

এলাকার খবর জানাতে ফোন বা WhatsApp করুন 9647180572 নম্বরে। নিচের লিঙ্কে টাচ করে ঘাটাল রিপাবলিক টিভি ডিজিটাল মিডিয়ার WhatasApp গ্রূপে যোগ দিন 👇 

Join WhatsApp Group

খবর পেতে নিচের লিঙ্কে টাচ করে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন  👇

Follow Facebook Page

YouTube Link



নবীনতর পূর্বতন