কর্মসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর, একশো শতাংশ উপভোক্তাকে প্রকল্পের আওতায় আনার ভাবনা জেলা শ্রম দপ্তরের

মনসারাম কর: দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের শুরুতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কর্মসাথী প্রকল্পে রেকর্ড সংখ্যায় আবেদন জমা পড়লো পশ্চিম মেদিনীপুরে।  জেলা শ্রম দপ্তর সূত্রে খবর, গত দু'দিনে মোট ৭২৪০ টি আবেদন জমা পড়েছে। দু'দিনের পরিসংখ্যানের নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ক্যাম্পে এই পাইলট  প্রকল্পে  আবেদনপত্র জমার হিড়িক এক লহমায় অনেকটাই বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেপুটি লেবার কমিশনার তাপস কুমার দত্ত বলেন, একশো শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিকদের এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। জেলাজুড়ে তার প্রচারও করা হয়েছে। প্রকল্পটি সফলভাবে রূপায়ণ করতে বিভাগীয় আধিকারিক ও কর্মীদের যাবতীয় রূপরেখা বলে দেওয়া হয়েছে। সকলেই একযোগে এই কাজ করছেন। তিনি আরও জানান, প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির তালিকায়  বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরের যে সকল পরিযায়ী শ্রমিকরা দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন,তাঁদের  সকলকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।  আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত  পরিযায়ী শ্রমিকদের আবেদন জমা নেওয়ার কাজ চলবে জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায়। সূত্রের খবর, আগামী দিনে জেলা জুড়ে ব্যাপক সংখ্যায় আবেদন জমা পড়বে। আবেদন জমার সাথে সাথেই শ্রম দপ্তরের তরফে নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে তার তথ্য আপলোড করার কাজও চলছে। আবেদনকারীদের মোবাইলে সেই মেসেজ যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়া এই কর্মসাথী প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলে শ্রম দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রকল্পের সুবিধা হিসেবে নথিভুক্ত শ্রমিকের স্বাভাবিক মৃত্যুতে পরিবার পাবেন ৫০ হাজার টাকা এবং দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হলে পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেবে শ্রম দপ্তর। এছাড়াও, দুর্ঘটনাজনিত কারণে কর্মক্ষমতা হারালে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক। ভিন রাজ্যে কোনও কারণে মৃত্যু হলে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য নানান সহায়তার পাশাপাশি ২৮ হাজার টাকা দেবে সরকার। এছাড়াও,আপদকালীন পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের পাশে থাকবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৭ম দফার দুয়ারে সরকারে এটাই এখন রাজ্য সরকারের পাইলট প্রকল্প। তাই প্রকল্পটির একশো শতাংশ রূপায়ণ করতে কার্যত ঘুম উড়েছে শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তাদের। পরিদর্শনের মাধ্যমে শ্রমিকদের পরিষেবার যাবতীয় দিক নজরে রেখেছেন জেলা প্রশানের শীর্ষ কর্তারা। ঘাটালের একটি ক্যাম্প পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পা হোনাইয়া। তিনি নিজে হাতে উপভোক্তাদের শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেন শনিবার ।



নবীনতর পূর্বতন