মনসারাম কর, সাংবাদিক, ঘাটাল: ঘাটালের এক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালের শঙ্কর দোলই। ঘাটালের নিশ্চিন্দিপুরের মৃত শ্রীমন্ত দাসের ছেলে সাগর দাস দীর্ঘদিন ধরেই দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন। অপারেশন সহ অন্যান্য ওষুধের খরচ যোগাতে পারছিলেন না ওই পরিবার। সেই পারিবারের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দিলেন শঙ্কর দোলই। শঙ্করবাবুকে নিয়ে বেশ কিছু কথায় পরে আসছি, তার আগে কয়েকটা কথা বলি। বিগতদিনের রেকর্ড দেখলে দেখা যায় শঙ্কর দোলই এই ধরনের বেশ কিছু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু সাধারণ মানুষের পাশেই নয় দলীয় কর্মীদের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে দলের নেতাদের সমালোচনা নে করেই ছুটে গেছেন তাঁদের পাশে। ফেসবুক নামক আজকের বড় প্লাটফর্মের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের গতিবিধি সকলেরই নজরে থাকে। শঙ্করবাবু আজ জেলা পরিষদের প্রার্থী। এমনটা নয় যে তিনি প্রার্থী হয়েছেন বলেই ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন। বিগতদিনেও দেখা গেছে শঙ্কর দোলই নানান স্তরের মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২০২১ এর পর দলীয়ভাবে কার্যত একাকী থাকলেও বন্যা থেকে শুরু করে দুর্ঘটনা বা দলীয় কর্মীদের সমস্যা সহ ঘাটালের নানান বিষয়ে তিনি নিজেই ছুটেছেন। এবার আসি অন্য কথায়। ঘাটালের রাজনীতিতে শঙ্কর দোলই একজন পক্ক রাজনীতির ব্যক্তি। একসময় দলের একাংশের কাছে তিনি অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ালেও তিনি রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি। পাশাপাশি ২০২১ এর পরাজয়ের পর শঙ্করবাবু নিজেও আগের থেকে অনেক পরিবর্তিত বলেই দাবি তাঁর অনুগামীদের। অবশ্য তিনি নেজেও বারে বারেই প্রকাশ্যে বলেছেন কিছু ভুলভ্রান্তি ছিল, তার জন্য অনেক আগেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই। তিনি এটাও বলেছেন দলীয় কাজে কিছু কিছু ভুল থাকলেই ব্যক্তি সার্থে নয় দলেরই সার্থে। তবে সেই ভুলভ্রান্তি কাটিয়ে তিনি মানুষের পাশে থাকতে চান। মানুষের জন্য কাজ করতে চান। সোজাসাপটা স্পটবাদি শঙ্কর বরাবরই বলে থাকেন রাজনীতিতে কিছু সময় থামতে হয়, বেশিদূর যেতে গেলে একটু দাঁড়াতে হয়। আর মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে রাজনীতি ছাড়াও করা যায়। বিধানসভা ভোটের পর দুবছর বিরতি শেষে পুণরায় দলের সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি পদ পাওয়া এবং বর্তমানে জেলা পরিষদের টিকিট পাওয়া, একটু থেমে ফের রাস্তা চলারই ইঙ্গিত দেয়। প্রার্থী হতেই অবশ্য বেজায় খুশি তাঁর অনুগামীরা। সেদিন মনোনয়ন জমা করতে যাওয়া তৃণমূলের অনেক নেতাই বলছিলেন দলীয় কর্মীদের কেউ কেউ উপর তলার নেতৃত্বদের লোক দেখানেো পাশে থাকেন। কিন্তু শঙ্করবাবুর নিজস্ব একটা বড় ভোটব্যঙ্ক রয়েছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষেই শঙ্করবাবুর পাশে রয়েছেন। জেলা পরিষদের প্রার্থী হতেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন তাঁর অনুগামীরা। যদিও শঙ্করবাবু বরাবরই অনুগামীর পরিবর্তে দলীয় কর্মী হিসেবেই সকলকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বলে দাবি তাঁর। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের সামনের সারির নেতাদের অনেক বিষয় কম বেশি প্রকাশ পেয়েছে। তবে প্রার্থী হতেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন শঙ্কর দোলই। তাঁর দাবি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই ভোটারদের মন জয় করবেন তিনি। পাশে থাকবেন সাধারণ মানুষের। তিনি এবার যে জায়গা থেকে প্রার্থী হয়েছেন সেটা জয়লাভের জন্য অনেকটাই সেফ জোন বলে মনে করছেন অনেকে। গত বিধানসভা ভোটেও ওই এলাকার ঢালাও ভোট পেয়েছিলেন তিনি। জয়লাভে এবারেও তাই অনেকটাই আশাবাদী শঙ্কর দোলই।