একজোটে দুয়ারে সরকারকে কটাক্ষ বিরোধীদের। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক ব্যানার্জীর দৃষ্টি আকর্ষণ চান অনেক আবেদনকারী।

পাপিয়া ব্যানার্জী, সাংবাদিক, ঘাটাল: একজোট হয়ে দুয়ারে সরকারের নামে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি এমন অনেকে আবেদনকারী রয়েছেন যাঁরা বার বার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেও সুবিধা পাননি। ফের আবার একবার দুয়ারে সরকার শুরু হতেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন সেই সকল মানুষজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন বিরোধী রঙের আবেদনকারীরা বলে অভিযোগ করলেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। শীতলবাবুর অভিযোগ, দুয়ারে সরকারে জমা হওয়া আবেদনের মধ্যে থেকে বিরোধীদের আবেদন বাছাই করে কাজ করে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি। উর্দ্ধতন আধিকারিকদের অনেকেই সেটা জানেন না বা জানলেও তাতে মদত দেন। ঘাটাল মহকুমার সব জায়গাতেই কম বেশি এই ধরণের কাজ করেছে শাসক দলের নেতারা। এ বিষয়ে শীতলবাবু এক বিবৃতিতে বলেন দুয়ারে সরকার নামক ক্যাম্পের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী কেবল তাঁর দলের কর্মী সমর্থকদের সুবিধার কথা ভাবেন। তিনি যদি সাধারণ মানুষের কথা ভাবতেন তাহলে এত মানুষকে বারংবার হয়রানীর শিকার হতে হত না। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত এই রাজনীতির খেলায় মেতেছেন প্রথম থেকেই।  গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কিছু কিছু কর্মী অনেক ভুল কাজ করেছেন বলে জানান শীতলবাবু। অনেক কর্মী গোপনে তাঁর ঘনিষ্ঠদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন অবৈধভাবে। এই ধরণের কাজের অনেক উদাহারণ রয়েছে। আর এই খেলার জন্যই বেশ কয়েকবারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন জমা করার পরে রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি আবেদনকারীদের। এমনটাই দাবি ঘাটালের বিধায়কের  যদিও শীতলবাবুর। বিজেপির পাশাপাশি দুয়ারে সরকার নিয়ে কটাক্ষের সুর চড়িয়েছেন সিপিএম। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন শাসক নেতৃত্ব। এ বিষয়ে রাজ্যস্তরের এক তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন মানুষকে পরিষেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাঁরা। ক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন বিস্তারির জেনে অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে অনেকের অভিযোগ এই দুয়ারে সরকারের নামে চরম রাজনীতি করছে শাসকদল। ক্যাম্পগুলি ব-কলমে পরিচালনা করে থাকেন তাঁরাই। তাই এবারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন জামা দিয়ে সুবিধা মেলার বিষয়ে ধোঁয়াসায় অনেকেই। প্রসঙ্গত, মানুষের ক্ষোভ যখনই বেড়েছে তখনই তার প্রভাব পড়েছে ভোট বাক্সে। এই বিষয়ে শাসকদলেরই বিক্ষুব্ধ এক কর্মী বলেন নিচুতলার কিছু নেতাদের জন্য উপর তলার চেয়ার যাবে। রাজ্যের এত ধরণের প্রকল্পের সুবিধা থাকার পরেও যেখানে শাসকদলের ভোট কম সেখানে বুঝেই নেওয়া দরকার সেই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু জনপ্রতিনিধিদের উপর মানুষের ক্ষোভ কত বেশি। কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া দরকার বলে বলেন শাসকদলের ওই বিক্ষুব্ধ কর্মী। তিনি আরও বলেন অভিষেক ব্যানার্জীর কাছে সব খবর আছে কোন গ্রাম পঞ্চায়েতে মানুষের ক্ষোভ সব থেকে বেশি, তিনি নিশ্চই সময়ে সব ব্যবস্থা নেবেন।   




নবীনতর পূর্বতন