পাঁচ লক্ষ টাকায় সোনার মূর্তি কিনে প্রতারিত হলেন চন্দ্রকোনার যুবক

নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দ্রকোনা : সোনার মূর্তির প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন চন্দ্রকোনার দরবস্তীবালা গ্রামের বুদ্ধদেব দাস নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির অভিযোগ তাঁর পরিচিত লুলু মাইতি নামে এক ব্যক্তি তাঁকে দু’কেজি ওজনের সোনার মূর্তি বিক্রির নামে নকল একটি মূর্তি দিয়ে তাঁর সাথে প্রতারণা করেছেন। অভিযুক্ত লুলু মাইতির বাড়ি চন্দ্রকোনা পুরসভার সুরেরহাট এলাকায়। এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা থানায় লুলু মাইতির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত বুদ্ধদেব দাস। বুদ্ধদেববাবুর লিখিত বয়ান অনুযায়ী গত ২২ মার্চ লুলু মাইতি প্রস্তাব দেন তাঁর ঘনিষ্ঠ গড়বেতার রসকুন্ডু এলাকার এক ব্যক্তির কাছে আনুমানিক দু,কেজি ওজনের একটি সোনার মূর্তি রয়েছে এবং তিনি সেটি বিক্রি করতে চান। মূর্তিটি কম দামে বিক্রিয় হবে। এই প্রলোভনে পা দিয়ে বুদ্ধদেব দাস লুলু মাইতির সাথে ওই তৃতীয় ব্যক্তির কাছে যান। প্রথমে মূর্তির কিছু অংশ চন্দ্রকোনার একটি সোনার দোকানে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করতে তা সোনার বলেই বলেন সোকানদার।  তারপর সেই মূর্তিতি পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কেনেন বুদ্ধদেববাবু। মূর্তিটি বাড়িতে নিয়ে আসার পর ফের অন্য একটি সোনার দোকানে পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে সেটি সোনার নয়, অন্য ধাতুর। ক্রেতা বুদ্ধদেব দাস বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর চন্দ্রকোনা থানায় লুলু মাইতির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বুদ্ধদেব দাস। প্রসঙ্গত সোনার মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ শোনা যায় বিভিন্ন সময়। এই নিয়ে যে একটা প্রতারণার চক্র কাজ করছে তা স্পষ্ট। 



নবীনতর পূর্বতন