মহাপ্রসাদের রাজনীতি

কলমে:-অবসরপ্রাপ্ত  অধ্যাপক ড: শিবাজী বসু:  ভারতীয় সংস্কৃতিতে পুরীর জগন্নাথধাম অবশ্যই একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ। বিশেষ করে ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতিতে জগন্নাথদেব বলতে উড়িষ্যার পুরীর জগন্নাথদেবকেই বোঝায়। যা ভারতীয়দের কাছে শ্রীক্ষেত্র নামে পরিচিত। অনেকের দাবি, পুরীর রথ বিশ্বের প্রাচীনতম রথ। কথিত আছে, গঙ্গাবংশীয় কলিঙ্গ রাজ আনন্তবর্মা চোরাগোঙ্গাদেব ১০৭৪ সালে বর্তমান জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করেন। ধীরে ধীরে এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা জগন্নাথদেব তামাম হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে ভগবান হিসাবে স্বীকৃতি পান। পুরী হয়ে যায় পবিত্র শ্রীক্ষেত্র। এই মন্দিরের স্থাপত্যকীর্তি অনন্য সাধারণ। প্রতি বছর অগণিত মানুষ পুরী যান। কেউ যান পুণ্য অর্জনের জন্য বা কেউ যান শিল্প কীর্তি দেখতে। কিন্তু এই জগন্নাথদেব একদিন যে বঙ্গ রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠবে তা মনে হয় স্বয়ং জগন্নাথদেবও বুঝি অনুমান করে উঠতে পারেন নি। এই বঙ্গ রাজনীতিতে জগন্নাথদেব ঢুকে পড়লেন যখন কয়েক বছর আগে বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে একটি মন্দির নির্মাণের জন্য কয়েকশ একর জমি অধিগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে কয়েকশ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই নিয়ে রাজ্যের একদা শাসকদল বামপন্থী দলগুলো সরকারি অর্থ অপচয় করা হচ্ছে বলে সরবও হয়েছিল। কিন্তু এই চিৎকারে কোনও আমল দেননি প্রতাপশালী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে একদিন পঞ্জিকা দেখে মন্দিরের শিলান্যাস করেন তিনি। সেদিন তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন আজকের তাঁর ঘোরতর শত্রু বিজেপি নেতা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধীরে ধীরে মন্দির নির্মাণও হয়ে যায়। গত ৩০ এপ্রিল বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ঘটা করেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন তিনি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হোল, এটি হল জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। এর পরিচালনা করবে রাজ্য সরকারের আবাসন দফতর। পর্যন্ত প্রায় ঠিক ছিল। এই নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্য হৈ চৈ করে। কিন্তু গোল বাঁধল জগন্নাথের মহাপ্রসাদ বিলি নিয়ে। যা নিয়েই এই প্রবন্ধের অবতারনা।

 হঠাৎ রাজ্যের খামখেয়ালী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছে হোল রাজ্য বাসীকে জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ ভক্ষণ করাবেন।উঠলো বাঈ তো কটক যাই’- মতো মুখ্যমন্ত্রী ফতোয়া জারি করলেন রাজ্যবাসীর কাছে প্রশাসনের উদ্যোগে দুয়ারে পুরীর জগন্নাথ দেবের আদলে মহাপ্রসাদ বিলি করা হবে। এমনিতেই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ এমনকি জগন্নাথ দেবের মূর্তি তৈরি স্থাপন নিয়ে উড়িষ্যা জুড়ে বিতর্ক চলছে। তারই মাঝে এই মহাপ্রসাদ বিলি নিয়ে নতুন করে আর একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। চলতি এই জুন মাসের একটি দিনক্ষণ দেখে দিঘায় জগন্নাথ দেবকে ৩০০ কেজি দুধে স্নান করিয়ে ফের হৈ চৈ করা হোল। ওইদিনই খোয়া ক্ষীর বানিয়ে জেলায় জেলায় পুলিশ পাহারায় পাঠিয়ে দেওয়া হোল। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এই খোয়া ক্ষীরই দিঘার জগন্নাথের মহাপ্রসাদ। তারপর ? তারপর বলা হোল জেলায় জেলায় প্রতিটি ব্লকে বিডিওর তত্ত্বাবধানে বিলি করা হবে এই মহাপ্রসাদ। কিভাবে ? ঘোষণা করা হোল, প্যাকেট করে বাড়ি বাড়ি বিলি করতে হবে এই মহাপ্রসাদ। সেই মতো রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতর এক চিঠিতে সমস্ত জেলা শাসককে এই মহাপ্রসাদ বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে। এই প্যাকেটে কী থাকবে ? পলিথিনে মোড়ানো একটি গজা পেঁড়া মিষ্টি থাকবে এই প্যাকেটে। আর থাকবে জগন্নাথ মন্দিরের একটি ছবি। রেশন কার্ড দেখিয়ে রাজ্যবাসীকে নিতে হবে এই প্যাকেট। রেশন ডিলাররা দুয়ারে রেশনের মতো বিলি করবেন প্যাকেটগুলি। অবশ্য ওই গজা পেঁড়াতে ছোঁয়ানো হবে দিঘা থেকে আনা ক্ষীর। দেখা গেছে, বিডিওরা জেলা শহর থেকে গাড়ি ভাড়া করে অতি যত্নে শ্রদ্ধা ভরে ওই ক্ষীর রুপী মহাপ্রসাদ ব্লক অফিসে নিয়ে এসেছেন। আর আগে থেকেই টেন্ডার আহ্বান করে স্থানীয় মিষ্টি দোকানে তৈরী করে রাখা হয়েছে গজা ও পেঁড়া। এমনকি রাজ্য সরকারের থেকে কাগজের তৈরি খাম পাঠানো হয়েছে ব্লকে ব্লকে যাতে লেখা আছে " জগন্নাথের মহাপ্রসাদ" এর জন্য নাকি রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে ৪২ কোটি টাকা ! শুধু মহাপ্রসাদ বিলি করতে এই খরচ ! একেই বলে মহাপ্রসাদ ! এবার আমরা জেনে নিই পুরীর জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ কেমন। শ্রীক্ষেত্র পুরী হচ্ছে পরম করুণাময় ব্রহ্মর ভোজনপীঠ। এই পীঠে ৫৬ রকমের ভোগ প্রতিদিন পাঁচবার প্রভুকে অর্পণ করা হয়। ঠাকুরের নৈবেদ্য সড়ঙ্গ সংস্কারে প্রস্তুত হয়ে অন্নত্ব হারিয়ে ব্রহ্মত্ব নিবেশিত হয় মহাপ্রসাদে পরিনত হয়। এর অন্য নাম 'কৈবল্য ' শুকনো অন্ন প্রসাদ হচ্ছে নির্মাল্য যা অমৃত জ্ঞানে গ্রহণ করা হয়। জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ বলতে তামাম হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ একেই বোঝেন। পবিত্র জ্ঞানে গ্রহণ করেন হিন্দুরা। আর দিঘায় জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ বলতে একটি গজা একটি পেঁড়া। এই গজা পেঁড়া বিলি করতে সোৎসাহে মাঠে নেমেছে তৃণমূল নেতা কর্মীরা এবং রাজ্য সরকারের আমলারা। এই গজা পেরা যে আদৌও মহাপ্রসাদ নয় তা জানে বৈকি তৃণমূল নেতা কর্মী আমলারা। তাহলে এই ধরনের হৈ চৈ কেন  ? আসলে পুরোটাই একটা ধর্মীয় রাজনীতি। হিন্দু ভাবাবেগকে নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টো দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যিনি একদা মমতার সঙ্গে লেপটে থাকতেন তিনিও কিন্তু পিছিয়ে নেই। তিনি একপা এগিয়ে খোদ পুরী ধামের অরিজিনাল মহাপ্রসাদ এনে বিলি করতে শুরু করেছেন। কেন ? আসলে হিন্দু ভোট ব্যাংক ধরতে দুই দলের নেতা নেত্রীর প্রাণপণ দড়ি টানাটানি ছাড়া আর কী ? এটা তো মানতেই হবে পুরীর জগন্নাথদেব যদি আসল হয় দিঘায় জগন্নাথ দেব অবশ্যই নকল। প্রশ্ন তো উঠতেই পারে কেন কী উদ্দেশ্যে দিঘায় সরকারি কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নকল জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তামাম দুনিয়াতো জানে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরই আসল ধাম। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই মন্দির। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ভক্তি শ্রদ্ধা মিশে রয়েছে এর সঙ্গে। ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর অপকৌশল অবলম্বন করেছে জুজুধান দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিজেপি। যাঁরা রাজ্য রাজনীতি নিয়ে চর্চা করেন তাঁরা মানছেন ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর এমন ধর্ম মেশানো রাজনীতি কখনই দেখেনি রাজ্যের মানুষ। বিশেষ করে নিরীহ জগন্নাথকে নিয়ে রাজনীতি বঙ্গ রাজনীতিতে কস্মিনকালে ছিল না। আর এই ধর্ম মেশানো রাজনীতি আমাদের দেশের সংবিধান মান্যতা দেয়নি। ধর্ম নিয়ে কী বলছে আমাদের দেশের সংবিধান ?

আমাদের দেশের বিধান হোল, সংবিধান মেনেই রাজনীতি করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। ধর্ম মিশিয়ে রাজনীতি আমাদের দেশের সংবিধান স্বীকৃতি দেয়নি।  ১৯৭৬ সালে ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আমাদের দেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। বর্তমান দেশের রাজনীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে কেন্দ্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শাসকদল ধর্ম মিশিয়ে রাজনীতি করে চলেছে। চুলোয় যাক দেশ রাজ্যের উন্নয়ন। ধর্ম মিশিয়ে রাজনীতি নিয়ে দেশের বিদগ্ধ মানুষজন বারবার সতর্ক করেছেন দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে। দেশের স্বাধীনতার পর স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলি ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতিই করত। যদিও ধর্মীয় গোঁড়ামির ভিত্তিতেই কিন্তু অখন্ড ভারত দুভাগ হয়ে যায়। যাতে না দেশ ফের ধর্ম দেশ ভাগের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্যই তো ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে সংবিধানে। ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিষয়। কে কোন ধর্ম পালন করবেন বা কিভাবে পালন করবেন তা ঠিক করার অধিকার একজন ব্যক্তিই ঠিক করবেন এক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্যক্তি নাক গলাতে পারবে না। সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় সেই অধিকার দেওয়া হয়েছে।  ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে, ধর্ম নিয়ে নাক গলাবে না একটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসাবে সরকার। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলই ধর্ম মিশিয়ে রাজনীতি করবে না। সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ভেঙ্কটরমন( Venkataraman)। তিনি বলেছেন, “The state is neither religious nor irreligious nor anti religious,but it is wholly detached from religious dogmas and activities and thus neutral in religious matters. "  ভারতীয় প্রেক্ষাপটে ধর্ম নিরপেক্ষতার কেতাবী সংজ্ঞা দিয়েছেন ব্রিটিশ লেখক সংবিধান বিশেষজ্ঞ D. E. Smith তিনি যা বলেছেন তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, “একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যক্তি সমষ্টির ধর্মীয় অধিকার স্বীকার করে, সাংবিধানিক ভাবে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি আনুগত্য দেখায় না, এমন কি কোনও ধর্মের প্রচার প্রসারে আগ্রহ দেখায় না। সরকারে থেকে বা স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হিসাবে এই ব্যাখ্যা মানছে কি তৃণমূল আর বিজেপি ? এটাই এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে দেশ জুড়ে। তাই কি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অনেক আগেই এই বিতর্ক হবে বুঝতে পেরেই বলেছিলেন, ‘ধর্ম কী, তা জানা সম্ভব নয় তো বটেই, জানবার প্রয়োজনও নেই’। সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুভাষ কাশ্যপ বলেছেন, “সংবিধান প্রণেতারা জাতি ধর্ম বর্ণনির্বিশেষে সমস্ত বৈচিত্র্যকে ছাড়িয়ে যাবে এমন একটি উৎকৃষ্ট জাতির কথা ভেবেছিলেন। তাঁরা ধর্মের প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছিলেন না।  কিন্তু আশা করতেন রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলা হবে এবং ধর্মীয় মত পার্থক্য জাতি গড়ার পথে প্রতিবন্ধক হবে না”। এই সতর্কবাণী উপেক্ষা করে ধর্মীয় জিগির তুলছে কেন তৃণমূল আর বিজেপি ? একটাই উত্তর , স্রেফ রাজনীতি। ক্ষমতা দখল আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ধর্মকে হাতিয়ার করছে এই দুই রাজনৈতিক দল। দেশের রাজের অনেক  জ্বলন্ত সমস্যায় ভুগছে দেশের মানুষ। শিক্ষা স্বাস্থ্য খাদ্য আবাসন সমস্যা নিয়ে কোনও বিতর্ক নয়, ধর্ম নিয়ে ঝাপিয়েছে এই দুটি দল। এমনকি আইনসভার ভিতরেও ধর্ম নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন দুই দলের বিধায়করা। উন্নয়ন চুলোয় যাক। আগে ধর্ম চাই। আসলে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো ধর্মীয় ভাবাবেগ সম্পন্ন বা ধর্মীয় গোঁড়ামির শিকার। এই ভাবাবেগকে পুঁজি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে বা ক্ষমতা দখল করতে চাইছে দুটি দলই। গ্রামের ভাঙাচোরা রাস্তা বা সেতু বা বিদ্যালয় নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই এদের, শুধু ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করছে এঁরা। আর আমাদের প্রশাসনের আমলারাও সমান দায়ী বলে আমি মনে করি। এই ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনীতিকদের পায়ে পা মিলিয়ে আমলারা কেমন হাংলামি করছে মহাপ্রসাদ বিতরণের সময় দেখছি। 'আমলার মন' বইতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক জায়গায় বলেছেন, “রাষ্ট্রিক আইনানুগ ন্যায়াদার্শের পরিবর্তে ব্যক্তিগত ভৃত্যত্বতের স্মারক ওই আমলা শব্দ নিয়েই আমরা বসে থাকব? কিছুতেই কি আমরা বুঝব না যে, আমলাদের ব্যাঙ্গের বিষয় করে আমরা আসলে গণতন্ত্রের অনুবর্তী নিয়মনিষ্ঠ সুশাসনের সম্ভাবনাকেই ক্রমশ আঘাত করে চলেছি”? মহাপ্রাসদের রাজনীতি করে ভবিষ্যতের দেশ ভাগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না তো এই দেশ ? সেদিন কিন্তু দায়ী থাকবে এই দুই রাজনৈতিক দল তাদের মদতপুষ্ট আমলারা।

 ঘোষণা:- "এই পেজে প্রকাশিত কোনো লেখা কপিরাইট দ্বারা সুরক্ষিত। লেখার কোনো অংশ প্রকাশক সংস্থার লিখিত অনুমতি ছাড়া কপি করে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।"



নবীনতর পূর্বতন