নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ, অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসের ফাঁসির আদেশ

নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ, মহম্মাদ আব্বাসের ফাঁসির আদেশ দিল আদালত। টঘনা মাত্র ১৩ মাস আগের। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া থানার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁর ১৬ বছরের স্কুলছাত্রী মেয়ে ২১ অগস্ট রোজকার মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল সকাল সাড়ে ৯ টায়। আর বাড়ি ফেরেনি। মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া যায় বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ রবীন্দ্রপল্লীনগরের কাছে মোটাজোল নামের এক নির্জন এলাকায়। তদন্তে নামে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। তদন্তভার পান মাটিগাড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর পরেশ বর্মণ।ময়নাতদন্তে জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। শরীরে ২১ টি আঘাতের চিহ্ন। তদন্তে নেমে মেয়েটির স্কুল থেকে শুরু করে দেহ আবিষ্কারের জায়গা পর্যন্ত সমস্ত সিসিটিভি খুঁটিয়ে দেখে তদন্তকারী অফিসার পরেশ চিহ্নিত করেন মাটিগাড়ার লেনিন কলোনি নিবাসী মহম্মদ আব্বাসকে। যার সাইকেলের পিছনে বসে মেয়েটি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে, এই ফুটেজ হাতে আসে পুলিশের। আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয় দ্রুত। জেরার মুখে সে কবুল করে অপরাধ। জানায়, স্কুল থেকে ফেরার সময় মেয়েটিকে সাইকেলে 'লিফট' দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সে। তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছতে পারবে, এই সরল বিশ্বাসে মেয়েটি রাজিও হয়ে যায়। এরপর ওই 'নরপশু' আব্বাস মেয়েটিকে রবীন্দ্রপল্লীনগরের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, এবং তারপর খুন। মেয়েটি বাধা দিতে চেয়েছিল প্রাণপণ, আব্বাস ইট দিয়ে বারবার মেয়েটির মাথায় আঘাত করে চিরতরে চুপ করিয়ে দেয়।এই নারকীয় ঘটনার সুবিচার যাতে মেয়েটির পরিবার পায়, সে বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার তো বটেই, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ টিম তদন্তের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনারেটের সিপি সি. সুধাকর স্বয়ং। সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ সংহত করে জমা দেওয়া হয় নিশ্ছিদ্র চার্জশিট। তারপর শুরু হয় 'ট্রায়াল মনিটরিং', বা বিচারপ্রক্রিয়া বিষয়ে সমন্বয়। মামলার বহুপ্রতীক্ষিত রায় বেরিয়েছে আজ। মাননীয় আদালত অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। ঘটনার ১৩ মাসের মধ্যে ফাঁসির আদেশ অভিযুক্তর। 



নবীনতর পূর্বতন